হাতে কালো ব্যান্ড পরে উসমান খোয়াজা। —ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে কালো ব্যান্ড পরে নামার জন্য তিরস্কৃত অস্ট্রেলিয়ার উসমান খোয়াজা। আইসিসি তিরস্কৃত করেছে অসি ওপেনারকে। ইজ়রায়েল এবং হামাস যুদ্ধের জন্য কালো ব্যান্ড পরেছিলেন খোয়াজা। কিন্তু ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বা আইসিসি-র থেকে কোনও অনুমতি নেননি তিনি। সেই কারণে খোয়াজাকে তিরস্কৃত করল আইসিসি।
আইসিসি-র নিয়ম ভেঙেছেন খোয়াজা। ব্যক্তিগত ভাবে বার্তা দেওয়ার জন্য কালো ব্যান্ড পরেছিলেন তিনি। এমন কিছু পরে নামার আগে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু তা নেননি খোয়াজা। তিরস্কার করা হলেও খোয়াজার দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে কোনও বাধা নেই। এমন ভুল ১২ মাসের মধ্যে চার বার করলে ম্যাচ ফি-র ৭৫ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়। তবে এমন কিছু যে হবে তা খোয়াজাও জানতেন।
উসমান খোয়াজার জুতোয় লেখাছিল, “স্বাধীনতা মানুষের অধিকার” এবং “সব মানুষের জীবনের দাম সমান।” গাজ়া হামলার কথা মাথায় রেখেই এই বার্তা দিতে চেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে সেই জুতো পরার কথা ভেবেছিলেন খোয়াজা। কিন্তু আইসিসি-র নিয়মের বাধায় তা সম্ভব হয়নি। আইসিসি-র উপর ক্ষোভও উগরে দিয়েছিলেন অসি ক্রিকেটার।
আইসিসি-র নিয়ম অনুযায়ী কোনও রকম রাজনৈতিক বার্তা ক্রিকেটারেরা মাঠের মধ্যে কোথাও ব্যবহার করতে পারবেন না। খোয়াজা বলেছিলেন, “আমি কোনও রাজনৈতিক বার্তা লিখিনি। আমি কারও পক্ষ নিয়েও কথা বলিনি। আমার কাছে সকলেই সমান। মুসলিম হোক বা জিহু বা হিন্দু সকলেই এক। আমি তাঁদের হয়ে কথা বলছি, যাঁরা নিজেদের কথা বলতে পারছে না। অবলা শিশুদের কাঁদতে দেখলে আমার কষ্ট হয়। আমার দুই মেয়ের যদি এমন অবস্থা হত? জন্মের সময় তো আর কেউ ঠিক করতে পারে না, সে কোথায় জন্ম নেবে। কিন্তু যখন দেখি পৃথিবী কারও কারও থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তখন কষ্ট হয়। আইসিসি আমাকে বলেছে যে, এই জুতো পরতে পারব না। ওদের মনে হয়েছে এটা রাজনৈতিক বার্তা। আমি যদিও সেটা বিশ্বাস করি না। তবে আইসিসি যখন বলেছে, আমি সেই নির্দেশ মেনে চলব। ওই জুতো পরব না।”
অবশ্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে সেই জুতো জোড়া পরেই নামেন খোয়াজা। তবে সাদা একটি টেপ দিয়ে স্লোগান ঢেকে দেওয়া ছিল। সেই সঙ্গে বাঁ হাতে একটি কালো ব্যান্ড পরে নেমেছিলেন তিনি। আইসিসির হুঁশিয়ারির বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদ দেখাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন খোয়াজা। তাতেই তিরস্কৃত তিনি।