ছবি: পিটিআই
আইসিসির ক্রমতালিকায় টেস্টে এক নম্বর ব্যাটার মার্নাস লাবুশানে। কেন তিনি এই স্থানের যোগ্য দাবিদার তা বুঝিয়ে দিলেন বুধবার। দিন-রাতের টেস্টে খেলতে নেমে প্রথম দিনেই শতরান করলেন তিনি। অপরাজিত ১২০ রানে। গত ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে দ্বিশতরান এবং দ্বিতীয় ইনিংসে শতরান করেছিলেন। এই ম্যাচেও সেই ছন্দ ধরে রেখেছেন তিনি। শতরান করলেন ট্রেভিস হেডও। অস্ট্রেলিয়া দিনের শেষে তিন উইকেট হারিয়ে ৩৩০ রান তুলে ফেলেছে।
গোলাপি বলে সাধারণত বোলাররা বেশি সুবিধা পান। কিন্তু অ্যাডিলেডে টস জিতে অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। প্যাট কামিন্স না থাকায় অস্ট্রেলিয়াকে এই ম্যাচে তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ৩৪ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ১২ রান করে সাজঘরে ফেরেন ডেভিড ওয়ার্নার। আলজারি জোসেফের বলে উইকেটরক্ষক জোশুয়া ডা সিলভার হাতে ক্যাচ দেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার। সেখান থেকে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান উসমান খোয়াজা এবং লাবুশানে। ৯৫ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। খোয়াজা ৬২ রান করে সাজঘরে ফিরলেও লাবুশানে (১২০) দিনের শেষ পর্যন্ত ক্রিজে অপরাজিত থেকে যান। টেস্ট ক্রিকেটে ১০টি শতরান হয়ে গেল তাঁর। রান পাননি অধিনায়ক স্মিথ। জেসন হোল্ডারের বলে তাঁর হাতেই ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের হয়ে এই ম্যাচে অভিষেক হয় ডেভন থমাস এবং মারকুইনো মিন্ডলের। থমাস ৯ ওভার বল করে খোয়াজার উইকেট নেন। তিনি ব্যাটার হলেও এই ম্যাচে বল করানো হয় তাঁকে দিয়ে। জুটি ভাঙার চেষ্টাতেই ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ক্রেগ ব্রেথওয়েট এই পরিকল্পনা করেছিলেন। সেটা কাজেও লেগে যায়। বাকি বোলারদের মধ্যে জোসেফ এবং হোল্ডার একটি করে উইকেট পেলেও অস্ট্রেলিয়ার রানের গতি কেউ কমাতে পারেননি।
দিনের শেষে শতরানকারী ট্রেভিস হেড বলেন, “৯০ রানের মাথায় পৌঁছে নিজেকে বলছিলাম সোজা খেলতে। সেই চেষ্টাই করেছি। ছন্দে ফিরে ভাল লাগছে। লাবুশানের শতরানটা দারুণ। কোনও সুযোগ দেয়নি ও। খুব সুন্দর খেলেছে ও। কঠিন পরিস্থিতিতে ব্যাট করতে নেমেও খেলাটা নিজেদের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে।”