স্টিভ স্মিথ। —ফাইল চিত্র
অ্যাশেজে তৃতীয় টেস্টে নামার আগে পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে। পরিবারের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারেরা। লর্ডসে হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের। বাদ যাননি তাঁদের পরিবারের লোকেরাও। সেই ঘটনা যাতে হেডিংলেতে না ঘটে তার জন্য আগে থেকে সুরক্ষা বাড়ানোর আবেদন করেছেন প্যাট কামিন্সেরা।
লর্ডসে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার জনি বেয়ারস্টোকে আউট করার পরে দু’দলের মধ্যে বিবাদ চরমে ওঠে। তাতে যোগ দেন ইংরেজ সমর্থকেরাও। সাজঘরে যাওয়ার সময় লর্ডসের লং রুমে হেনস্থার মুখে পড়েন ডেভিড ওয়ার্নার ও উসমান খোয়াজা। ‘দ্য অস্ট্রেলিয়ান’-এ প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, হেনস্থা করা হয় স্টিভ স্মিথের মা গিলিয়ানকেও। তিনি যে স্মিথের মা, সেটা নাকি জানতেন না সমর্থকেরা। শুধুমাত্র তিনি অস্ট্রেলিয়াকে সমর্থন করছেন বলে কটূক্তির মুখে পড়তে হয় তাঁকে। খেলার মাঝেই স্টেডিয়াম ছেড়ে চলে যান গিলিয়ান। দলের এক সাপোর্ট স্টাফের বাচ্চা ছেলে ভয়ে কেঁদে ফেলে। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাইছে না অস্ট্রেলিয়া।
৬ জুলাই থেকে হেডিংলেতে শুরু তৃতীয় টেস্ট। হেডিংলে বেয়ারস্টোর ঘরের মাঠ। স্বাভাবিক ভাবেই সেখানে তাঁর সমর্থন অনেক বেশি থাকবে। লর্ডসে যে ভাবে তিনি আউট হয়েছেন তাতে হেডিংলেতে আরও উগ্র হয়ে উঠতে পারেন ইংরেজ সমর্থকেরা। সেই চিন্তা অসি ক্রিকেটারদের। একই চিন্তা প্রশাসনেরও। ইতিমধ্যেই পশ্চিম ইয়র্কশায়ার পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছেন হেডিংলে কর্তৃপক্ষ। গ্যালারিতে যাতে কোনও অযাচিত ঘটনা না ঘটে সে দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে পুলিশকে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন থাকবে মাঠে।
মা গিলিয়ানের (বাঁ দিকে) সঙ্গে স্টিভ স্মিথ। —ফাইল চিত্র
হেডিংলে স্টেডিয়ামের এক আধিকারিক বলেছেন, ‘‘লর্ডসে কী হয়েছে সেটা আমরা দেখেছি। মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের তিন সদস্যকে নির্বাসিত করা হয়েছে। সেখানকার লং রুমেই যদি এই হয় তা হলে হেডিংলেতে আরও কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের। আমরা চাই না কোনও খারাপ ঘটনা ঘটুক। তাই আগে থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি।’’
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদেরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন হেডিংলে কর্তৃপক্ষ। খেলা চলাকালীন রেস্তরাঁ বা পাবে যাওয়ার ক্ষেত্রে একটু সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে স্টিভ স্মিথদের। শুধু ক্রিকেটেই মন দিতে বলা হয়েছে। এই আবহে হেডিংলে টেস্টের শুরুটা কেমন হয় সে দিকেই নজর সবার।