প্রথম দিনেই কামিন্সদের দাপট। ছবি: ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়ার জন্য পাতা স্পিনের ফাঁদে নিজেই জড়িয়ে গেল শ্রীলঙ্কা। তাদের প্রথম ইনিংস ২১২ রানে মুড়িয়ে দিলেন প্যাট কামিন্সরা। তবু প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের শেষে কিছুটা চাপে অস্ট্রেলিয়া। কিছুটা ভুল বোঝাবুঝিতেই নিজেদের উপর চাপ তৈরি করল কামিন্সের দল। স্টিভ স্মিথ রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলেন ওপেনার উসমান খোয়াজার ভুল সিদ্ধান্তে। মাঠেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্মিথ।
টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন দিমুথ করুণারত্নে। কিন্ত এক দিনের ক্রিকেটের ছন্দ ধরে রাখতে পারলেন না শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা। অজি স্পিনারদের দাপটেই ধস নামল শ্রীলঙ্কার ইনিংসে। শুরু থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে খেই হারিয়ে ফেললেন আয়োজকরা। সাত নম্বরে নেমে উইকেটরক্ষক-ব্যাটার নিরোশান ডিকওয়েলা একমাত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। নাথান লায়নের বলে আউট হওয়ার আগে তিনি করলেন ৫৮ রান। কিছুটা লড়াইয়ের চেষ্টা করলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে এল ৩৯ রান। তিনিও লায়নের শিকার।
অধিনায়ক করুণারত্নেকেও (২৮) আউট করেন অজি স্পিনার। যদিও তাঁকে আউট করার কৃতিত্ব বেশিটাই ডেভিড ওয়ার্নারের। প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো ওয়ার্নার সামনে ঝাঁপিয়ে অনবদ্য ক্যাচ তুলে নিলেন। শ্রীলঙ্কার আর কোনও ব্যাটারই তেমন উল্লেখযোগ্য রান করতে পারলেন না। ওপেনার পাথুম নিশাঙ্ক ২৩ এবং স্পিনার রমেশ মেন্ডিস ২২ রান করেন। অস্ট্রেলিয়ার সফলতম বোলার লায়ন ৯০ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নিলেন। আরেক স্পিনার মিচেল সোয়েপসন ৫৫ রান দিয়ে নিলেন ৩ উইকেট। একটি করে উইকেট কামিন্স এবং মিচেল স্টার্কের।
জবাবে দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার রান ৩ উইকেটে ৯৮। উইকেটে রয়েছেন ওপেনার খোয়াজা (৪৭) এবং ট্রেভিস হেড (৬)। স্মিথ (৬) ছাড়া আউট হয়েছেন ওপেনার ওয়ার্নার (২৫) এবং তিন নম্বরে নামা মার্নাস লাবুসেন (১৩)। তাঁরা দু’জনেই শ্রীলঙ্কার স্পিনার মেন্ডিসের শিকার। স্মিথকে দ্রুত খুচরো রান নেওয়ার জন্য ডাকেন নন স্ট্রাইকার এন্ডে থাকা খোয়াজা। স্মিথ খানিকটা এগিয়ে আসার পর তাঁকে ফিরে যেতে বলেন খোয়াজা। তাতেই রান আউট হন স্মিথ। এ ভাবে আউট হয়ে খোয়াজার উপর চটে যান প্রাক্তন অধিনায়ক। শ্রীলঙ্কার থেকে প্রথম ইনিংসে ১১৪ রানে পিছিয়ে রয়েছে সফরকারীরা।
বুধবার ম্যাচ শুরুর আগে স্মরণ করা হয় অস্ট্রেলিয়ার প্রয়াত স্পিনার শেন ওয়ার্নকে। ২০০৪ সালে এই মাঠেই ৫০০তম টেস্ট উইকেট নিয়েছিলেন ওয়ার্ন।