Asia Cup 2023

শনিবার বিরাট-বাবরদের লড়াইয়ে পরাজয় ‘নিষিদ্ধ’, উত্তাপ কমছে না শ্রীলঙ্কার মেঘলা আবহাওয়াতেও

২০১৯ বিশ্বকাপের পর শনিবার প্রথম এক দিনের ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত এবং পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কার মেঘলা আবহাওয়ায় ম্যাচ হওয়া নিয়ে আশঙ্কা থাকলেও উত্তেজনার আঁচ কমছে না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৯:৩১
Share:

(বাঁদিকে) বিরাট কোহলি এবং বাবর আ‌জ়ম। —ফাইল চিত্র।

ক্রিকেট মাঠে ভারত-পাকিস্তান লড়াই মানেই আলাদা উত্তেজনা। ক্রিকেটার, কর্তা, সমর্থক, ক্রিকেটপ্রেমী, আম জনতা— গোটা ক্রিকেট বিশ্বই তাকিয়ে থাকে এই ম্যাচের দিকে। দু’দেশের রাজনৈতিক দূরত্বের কারণে ২২ গজে এখন আর তেমন মুখোমুখি হয় না ভারত, পাকিস্তান। তাই কোনও প্রতিযোগিতায় বছরে দু’-এক বার দেখা হলেই চড়তে শুরু করে উত্তেজনার পারদ। শ্রীলঙ্কার মেঘলা আবহাওয়াতেও আঁচ কমার সম্ভাবনা নেই।

Advertisement

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে পরাজয় ‘নিষিদ্ধ’। তবু একটি দলকে হারতেই হয় খেলার নিয়মে। ফুটবল, হকির মতো ম্যাচ ড্র রাখার সুযোগ নেই লিগ বা গ্রুপ পর্বে। রোহিত শর্মা, বাবর আজ়মদের এই তথ্য অজানা নয়। তাঁদের মধ্যে যতই বন্ধুত্ব থাকুক, মাঠের ভিতরে তার কোনও জায়গা নেই। ভারত-পাকিস্তান লড়াই ভারতীয় উপমহাদেশের ক্রিকেট সভ্যতার অবিচ্ছেদ্যই শুধু নয়, অপরিহার্য অংশ। বিশ্বের যে প্রান্তেই হোক, এই ম্যাচ ঘিরে উন্মাদনার খামতি থাকে না।

আইসিসির ক্রমতালিকা অনুযায়ী, এক দিনের ক্রিকেটে পাকিস্তান এখন এক নম্বর দল। ভারত রয়েছে তৃতীয় স্থানে। এই ম্যাচে আইসিসির র‌্যাঙ্কিংয়ের কোনও গুরুত্ব নেই। কোনও দিন ছিলও না। খাতায় কলমে দলগত শক্তির হিসাবও ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে কার্যত অপ্রাসঙ্গিক। এগিয়ে থেকে মাঠে নামে না কেউ। ক্রিকেটপ্রেমীরা তাকিয়ে থাকবেন শুধু ব্যাট বলের লড়াইয়ের দিকে। এক দিকে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, শুভমন গিলদের সঙ্গে লড়াই হবে শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হ্যারিস রউফদের। আবার বাবর আজ়ম, মহম্মদ রিজ়ওয়ান, ইফতিকার আহমেদদের চ্যালেঞ্জ জানাবেন যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামি, মহম্মদ সিরাজেরা।

Advertisement

গ্রাফিক: সৌভিক দেবনাথ।

গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর প্রথম বার মুখোমুখি হবে দু’দেশ। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর প্রথম ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলবে তারা। নেপালের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে নিজেদের পরখ করে নেওয়ার একটা সুযোগ পেয়েছে পাকিস্তান। রোহিতদের প্রথম পরীক্ষা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। চোট সারিয়ে দীর্ঘ দিন পর দলে ফেরা শ্রেয়স আয়ারের কেমন ফর্মে আছেন, তার একটা আভাস পাওয়া যাবে। ব্যাটিং অর্ডারের চার নম্বর জায়গা নিয়ে রাহুল দ্রাবিড়দের চিন্তা বাড়বে অথবা কমবে। স্বস্তির হল, কোনও দলেই চোট-আঘাতের সমস্যা নেই।

নেপালকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তানের জায়গা প্রায় পাকা। তাতে অবশ্য বাবরের দলের চাপ মুক্ত থাকার সুযোগ নেই। কারণ, ভারতেরও দ্বিতীয় প্রতিপক্ষ নেপাল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আঙিনায় যারা নেহাতই শিশু। তাদের কাছে রোহিতেরা হারবেন, তা অতি বড় নেপাল সমর্থকও বিশ্বাস করেন না। তাই ভারত বাড়তি চাপ নিয়ে মাঠে নামবে এমন মনে করার কারণ নেই। দু’দলেরই সুপার ফোরে ওঠা এক রকম নিশ্চিত। ফলে আরও একটা ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখতে পাবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এই হিসাব নিয়েও মাথাব্যথা নেই সমর্থকদের। জিততে হবে— এটাই প্রথম এবং শেষ কথা। গ্রুপের ম্যাচ হোক বা ফাইনাল, প্রদর্শনী ম্যাচ হলেও প্রত্যাশার চাপ নিয়ে মাঠে নামতে হয় ক্রিকেটারদের। টস হওয়ার পর দু’দেশের রাস্তা ক্রমশ ফাঁকা হতে শুরু করে। ভিড় বাড়তে শুরু করে টেলিভিশনের সামনে। বাড়তে শুরু করে রক্তচাপ। চার, ছয় বা আউট হলে উদ্বেল হয় গ্যালারি। এক দেশের সমর্থকদের চিৎকার সীমানা পেরিয়ে পৌঁছে যায় অন্য দেশে। ক্রিকেট প্রতি বার নতুন করে সাবালক হয়ে ওঠে। জন্ম বিলেতে হলেও ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা ভারতীয় উপমহাদেশেই সর্বজনীন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement