দেড় মাস পরে মাঠে ফিরে ছন্দেই কোহলী। ফাইল ছবি
হংকংয়ের বিরুদ্ধে তৃতীয় উইকেটে বিরাট কোহলী এবং সূর্যকুমার যাদবের ৯৮ রানের ইনিংস ভারতকে ভদ্রস্থ স্কোরে পৌঁছে দেয়। ক্রিজে নেমে ধীরেসুস্থে খেলার চেষ্টা করছিলেন কোহলী। পরে আক্রমণাত্মক খেলেন। কিন্তু সূর্য আক্রমণাত্মক হতেই তিনি ধীরে খেলা শুরু করেন। লক্ষ্য ছিল উইকেটের একটা দিক ধরে রাখা। ম্যাচের পর সূর্যের সঙ্গে কথোপকথনে কোহলী জানালেন, দেড় মাস বিরতি নিয়ে নিজেকে অনেক তরতাজা লাগছে তাঁর। যিনি এক মাস ব্যাট ছুঁয়েও দেখেননি, সেই কোহলী বলেছেন, ক্রিজে নেমে সময়টা উপভোগ করছেন।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৫ করার পর হংকংয়ের বিরুদ্ধে অর্ধশতরান করেছেন কোহলী। কী পরিকল্পনা নিয়ে ব্যাট করতে নেমেছিলেন? সূর্যের প্রশ্নের উত্তরে কোহলী বলেছেন, “আমার পরিকল্পনাও খুব সহজ ছিল। দেড় মাস বিরতি নিয়ে খেলতে নেমেছিলাম। ছ’সপ্তাহ লম্বা সময়। বিশেষত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে, যেখানে বিরতি নিলে লোকে খেলা থেকে অনেকটাই দূরে সরে যায়। আমি মানসিক ভাবে অবশ্য তরতাজা হয়ে নেমেছি। গত ম্যাচেও নিজের ব্যাটিং উপভোগ করেছি। আমার লক্ষ্য ছিল ইনিংস ধরে রেখে জুটি তৈরি করা। তার পরে পরিস্থিতি ঠিক থাকলে বাউন্ডারির মারার চেষ্টা করতাম।”
কোহলীর সংযোজন, “তুমি ক্রিজে আসার পরেই বলেছিলাম, আমি নিজের মতো খেলব। কিন্তু তুমি মার শুরু করার পর নিজেই নিজের ভূমিকা বদলে নিলাম। তখন এক প্রান্ত ধরে রাখা লক্ষ্য ছিল, যাতে উল্টো দিক থেকে তুমি মারতে পারো। দলের স্বার্থে নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। দুটো ম্যাচেই নিজের ব্যাটিং নিয়ে তৃপ্ত। আমার কাছে মাইলফলক, রানের সংখ্যা সবই অপ্রাসঙ্গিক। ব্যাট করার সময় কেমন লাগছে সেটাই আসল। আমার ভাল লেগেছে, এটাই আসল।”
এর পরে কোহলী পাল্টা সূর্যকে প্রশ্ন করেন, কী করে এতটা আক্রমণাত্মক খেললেন তিনি? সূর্যের উত্তর, “তখন ক্রিজে এসে যেটা করার দরকার ছিল সেটাই করেছি। সহজ পরিকল্পনা ছিল। প্রথম ১০ বলে তিন-চারটে বাউন্ডারি মারতে চেয়েছিলাম। সেটা হয়ে যেতেই ছন্দ বজায় রেখে এগিয়ে গিয়েছিলাম। সেই মুহূর্তে উল্টো দিকে তোমায় দরকার ছিল। তাই তোমাকে বলেছিলাম, এক দিক তুমি ধরে রাখো। আমি যাতে খোলা মনে খেলতে পারি, তার জন্য তোমাকে দরকার ছিল। আগেও দেখেছি, ৩০-৩৫ বল খেলার পর বাকি সময় তুমি ২০০-র উপর স্ট্রাইক রেটে খেলো।”
হংকং ম্যাচে শেষ ওভারে চারটি ছয় মারেন সূর্য। কোহলী প্রশ্ন করেন, কখনও কি ছ’টি ছয় মারার কথা মাথায় এসেছিল? হাসতে হাসতে সূর্যের উত্তর, “নিজের সেরাটাই দিয়েছিলাম। কিন্তু হল না।” শুরুতেই সূর্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন কোহলী। বলেন, “সূর্যকুমারের সাক্ষাৎকার নিতে পেরে গর্বিত। অসাধারণ ইনিংস খেলেছে আজ। আমি উল্টো দিক থেকে উপভোগ করেছি। ও যতটা সহজ ভাবে খেলেছে, ততটাও সহজ ছিল না পিচ। আইপিএলে তোমার খেলা আগে দেখেছি। তখন বিপক্ষ দলে থাকি। প্রথম বার এত কাছ থেকে তোমার ইনিংস দেখলাম।”