ইনিংস শেষে এ ভাবেই মাথা নুইয়ে সূর্যর ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করেছেন কোহলী। ছবি: টুইটার
লোকেশ রাহুল যখন আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তখন দলের রান ১৩ ওভারে ৯৪। দেখে মনে হচ্ছিল খুব বেশি হলে ১৫০-র কাছাকাছি রান হতে পারে ভারতের। কিন্তু ইনিংস শেষ হয় ১৯২ রানে। বিরাট কোহলী ও সূর্যকুমার যাদবের ব্যাটে শেষ সাত ওভারে ওঠে ৯৮ রান। তার মধ্যে সূর্য করেন ৬৮ রান। নেন মাত্র ২৮ বল। সূর্যের তেজে মুগ্ধ কোহলী। ইনিংস শেষে সূর্যের সামনে মাথা নুইয়ে তাঁকে অভিবাদন জানান তিনি।
হংকংয়ের বিরুদ্ধে প্রথম বল থেকেই মারমুখী মেজাজে ছিলেন সূর্য। বড় শট খেলছিলেন। মাঠের চার দিকে রান আসছিল। উইকেটের পিছনে নিজের স্বভাবসিদ্ধ শট খেলছিলেন তিনি। ২২ বলে অর্ধশতরান করেন। শেষ পর্যন্ত ২৮ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন। মারেন ছ’টি চার ও সমসংখ্যক ছক্কা। তার মধ্যে ইনিংসের শেষ ওভারে চারটি ছক্কা মারেন তিনি।
সূর্যের গোটা ইনিংস উইকেটের অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে দেখেন কোহলী। সূর্য যখন ব্যাট করতে নামেন তখন কোহলীর রান ৩৩। শেষ পর্যন্ত ৫৯ রান করেন প্রাক্তন অধিনায়ক। পরে নেমেও কোহলীকে ছাপিয়ে যান সূর্য। ইনিংস শেষে দেখা যায়, মাথা নুইয়ে সূর্যকে অভিবাদন জানাচ্ছেন কোহলী। সেই ছবি নেটমাধ্যমে ভাইরাল। কোহলীর এই কাজের প্রশংসা করেছেন সবাই। দলের অন্য ক্রিকেটারের প্রতি কোহলীর এই সম্মান সবার শেখা উচিত বলে দাবি তাঁদের।
সূর্য কী ভাবে এতটা আক্রমণাত্মক খেললেন সেই প্রশ্ন করেছেন কোহলী। ম্যাচ শেষে কথোপকথনের সময় কোহলীর প্রশ্নের জবাবে সূর্য বলেন, ‘‘তখন ক্রিজে এসে যেটা করার দরকার ছিল সেটাই করেছি। সহজ পরিকল্পনা ছিল। প্রথম ১০ বলে তিন-চারটে বাউন্ডারি মারতে চেয়েছিলাম। সেটা হয়ে যেতেই ছন্দ বজায় রেখে এগিয়ে গিয়েছিলাম। সেই মুহূর্তে উল্টো দিকে তোমায় দরকার ছিল। তাই তোমাকে বলেছিলাম, এক দিক তুমি ধরে রাখো। আমি যাতে খোলা মনে খেলতে পারি, তার জন্য তোমাকে দরকার ছিল। আগেও দেখেছি, ৩০-৩৫ বল খেলার পর বাকি সময় তুমি ২০০-র উপর স্ট্রাইক রেটে খেলো।’’
হংকং ম্যাচে শেষ ওভারে চারটি ছয় মারেন সূর্য। কোহলী প্রশ্ন করেন, কখনও কি ছ’টি ছয় মারার কথা মাথায় এসেছিল? হাসতে হাসতে সূর্যের উত্তর, “নিজের সেরাটাই দিয়েছিলাম। কিন্তু হল না।” সূর্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন কোহলী। বলেন, “সূর্যকুমারের সাক্ষাৎকার নিতে পেরে গর্বিত। অসাধারণ ইনিংস খেলেছে আজ। আমি উল্টো দিক থেকে উপভোগ করেছি। ও যতটা সহজ ভাবে খেলেছে, ততটাও সহজ ছিল না পিচ। আইপিএলে তোমার খেলা আগে দেখেছি। তখন বিপক্ষ দলে থাকি। প্রথম বার এত কাছ থেকে তোমার ইনিংস দেখলাম।”