এশিয়া কাপে রোহিতকে এমনই চিন্তিত দেখিয়ে। ফাইল ছবি।
রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলীদের পারফরম্যান্সে ভারতীয়রাই শুধু হতাশ নন। এশিয়া কাপে ভারতীয় দলের খেলায় হতাশ শোয়েব আখতারও। পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার মনে করছেন, এ বার ভারতের ঘুম থেকে ওঠার সময় হয়েছে। তীব্র সমালোচনা করেছেন অধিনায়ক রোহিতেরও।
শোয়েবের মতে, রোহিতের নেতৃত্বের উন্নতি দরকার। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তিনি বলেছেন, ‘‘ভারতের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু কিছু জিনিস ওদের দ্রুত শিখতে হবে। তাদের মধ্যে একটা হল, সেরা একাদশ বেছে নেওয়া। এটা সব থেকে জরুরি। রোহিতকেও নেতৃত্বের ধার বাড়াতে হবে। ধৈর্য রাখতে হবে।’’ রোহিতকে অধিনায়ক হিসাবে আত্মবিশ্বাসী মনে হয়নি শোয়েবের। এ নিয়ে বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপের আগে এখন অধিনায়ক বদল করতে গেলে ভারত বড় ভুল করবে। রোহিতকে মাঠে দ্বিধাগ্রস্ত দেখাচ্ছে। মাঝে মাঝে হতাশায় চিৎকার করছে। প্রতি ম্যাচেই প্রথম একাদশে পরিবর্তন করছে। কিছু পরিবর্তন অহেতুক। এমন করলে সাজঘরের মধ্যে একটা অনিশ্চয়তার পরিবেশ তৈরি হয়।’’
বোলিং যে ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের বড় দুর্বলতা তাও সোজাসাপ্টা বলেছেন শোয়েব। তাঁর বক্তব্য, ‘‘বোলিংয়ে অনেক উন্নতি দরকার। প্রথম একাদশে সেরা পাঁচ জন বোলারকে খেলানো উচিত। হার্দিক পাণ্ড্য ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করছে। অর্শদীপও খারাপ বোলিং করেনি। ও একটা ক্যাচ ফেলেছে ঠিকই। খেলায় এমন ভুল হয়। জোরে বোলার হিসাবে অর্শদীপ যথেষ্ট ভাল। বিশেয করে শেষের ওভারগুলোয় খুব ভাল বল করে। প্রতিভা রয়েছে ওর।’’
ভারতীয় দলের পারফরম্যান্স নিয়ে শোয়েব বলেছেন, ‘‘ভারত খুব খারাপ খেলেছে, তেমন নয়। তবে সেরা খেলাটাও খেলতে পারেনি। সমর্থকদের হতাশ হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি প্রতিটি পতনের পরেই উত্থান থাকে। এশিয়া কাপে ভারতের এই ফল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওদের জন্য ইতিবাচক হতে পারে।’’
শোয়েবের মতে, এশিয়া কাপে হতাশ করলেও বিশ্বকাপে ভারত ভাল পারফরম্যান্স করতে পারে। পাকিস্তানের প্রাক্তন জোরে বোলার বলেছেন, ‘‘ভারতের ঘুম থেকে ওঠার সময় হয়েছে। দ্রুত সেরা একাদশ বেছে নিতে হবে। বিশ্বকাপের আগে এই ফলাফলে ভারতের ভাল হতে পারে। কারণ, ওরা নিশ্চয় নিজেদের দুর্বলতার জায়গাগুলো বুঝতে পারছে। সঠিক বোলিং লাইন আপ বেছে নিতে হবে ভারতকে।’’
ফাইনাল নিয়েও হতাশা গোপন করেননি শোয়েব। বলেছেন, ‘‘আশা করেছিলাম একটা বড় ফাইনাল হবে। আরও একটা ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখার সুযোগ পাব আমরা। কিন্তু সেই আশা আর প্রায় নেই। যদিও পাকিস্তান পরের দু’টি ম্যাচ হারলে ভারতের ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। আমার মতে ওদের আর কোনও সুযোগ নেই।’’