কী ভাবে জেতালেন, জানালেন নাসিম। ছবি পিটিআই
বুধবার এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রায় হেরেই গিয়েছিল পাকিস্তান। ম্যাচ বদলে যায় শেষ ওভারে। ফজলহক ফারুকির প্রথম দু’টি বলে অতিকায় ছক্কা মেরে দলকে ম্যাচ জিতিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে তুলে দেন নাসিম শাহ। ম্যাচের পর তিনি জানালেন, আত্মবিশ্বাস এবং অনুশীলনে মনোযোগের কারণেই সাফল্য পেয়েছেন।
নাসিম বলেছেন, “ব্যাট করতে যাওয়ার সময় মনে এই বিশ্বাস ছিল যে ছয় মারতে পারি। যে ভাবে ফিল্ডিং সাজিয়েছিল তাতে বুঝেছিলাম ইয়র্কার দেবে। ছয় মারার চেষ্টা করেছি এবং পেরেছি। আমাদের সবার মধ্যেই বিশ্বাস থাকতে হবে যে, প্রয়োজনে আমরা ছয় মারতে পারি। আমরা নেটে অনুশীলন করি। নিজের ব্যাট বদলে নেমেছিলাম। সেটাও কাজে দিয়েছে।”
নাসিম যোগ করেছেন, “নবম উইকেট হারানোর পর কেউ বিশ্বাস করে না যে আপনি জিততে পারেন। আমার বিশ্বাস ছিল জিতব। অনুশীলনে অনেক বার ছয় মেরেছি। মাঠে নেমেও করে দেখালাম। আমার জীবনে এই ম্যাচটা অন্যতম স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
নাসিম যখন নামলেন, পাকিস্তানের জিততে ১০ বলে ২০ রান দরকার ছিল। হাতে তখন দু’টি উইকেট। এর আগে টি-টোয়েন্টিতে মাত্র একটি বল খেলেছিলেন। কিন্তু জীবনের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বলে জয় মেরে অসাধারণ ভাবে দেশকে ম্যাচ জেতালেন তিনি। নাসিম বলেছেন, “আমি যখন ব্যাট করতে নামি তখন আসিফ (আলি) ব্যাটিং করছিল। আমার কাজ ছিল ওকে স্ট্রাইক দেওয়া। ও আউট হওয়ার পর বুঝতে পেরেছিলাম আমার উপরেই বাকি দায়িত্ব।”
নাসিমের এই ইনিংস মনে পড়িয়ে দিয়েছে শারজায় জাভেদ মিয়াঁদাদের অবিস্মরণীয় কীর্তিকেও। ১৯৮৬ সালে ভারতের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলেশিয়া কাপের ফাইনালে চেতন শর্মাকে শেষ বলে ছক্কা মেরে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন তিনি।