রবিবার ভারতের বিরুদ্ধে আগ্রাসী মেজাজে নওয়াজ। ছবি: টুইটার।
এশিয়া কাপের সুপার ফোরে পাকিস্তানের কাছে ম্যাচ হারার পর মহম্মদ নওয়াজের প্রশংসা করেছিলেন বিরাট কোহলী। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ২০ বলে ৪২ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন তিনি। দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পেরে খুশি তিনি।
তাঁকে নিয়ে দলের পরিকল্পনা কাজে লাগায় খুশি হয়েছেন নওয়াজ। আগ্রাসী ব্যাটিং করে রানের গতি বাড়ানোর জন্যই ব্যাটিং অর্ডারে তাঁকে তুলে এনেছিলেন বাবর আজমরা। সেই আস্থার মর্যাদা দিতে পেরেছেন তিনি। আগ্রাসী ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরাও হয়েছেন। বাবর এবং ফখর জমান দ্রুত আউট হলেও মহম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে নওয়াজের তৃতীয় উইকেটে ৭৩ রানের জুটি পাক ইনিংসকে চাপমুক্ত করে। নওয়াজের আশা ভারত-পাকিস্তানের সব ম্যাচেই টান টান উত্তেজনা থাকবে। তিনি বলেছেন, ‘‘প্রথম ম্যাচেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল দু’দলের। আশা করব সব ম্যাচই আমরা এ ভাবে খেলতে পারব।’’
ভারতীয় বোলাররা প্রচুর খাটো লেংথের বল করেছে। ভুবনেশ্বর কুমারদের এই কৌশলের ফায়দা তুলেই তাঁরা জয় পেয়েছেন বলে দাবি নওয়াজের। তিনি বলেছেন, ‘‘দল আমাকে ব্যাটিং অর্ডারে তুলে আনে। দল সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। ভারত খাটো লেংথের বল করবে, আমরা এ রকমই প্রত্যাশা করেছিলাম। এই ধরনের বল করে ওরা বেশ কিছু উইকেট পেয়েছে। তাই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করার কথা ভেবেই মাঠে নেমেছিলাম।’’
৬৩ রানে দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। উইকেটের এক দিক অবশ্য আগলে রেখেছিলেন রিজওয়ান। উইকেটে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কী কথা হয়, বলেন নওয়াজ। পাকিস্তানের বাঁহাতি অলরাউন্ডার জানিয়েছেন, তাঁরা ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেছিলেন। নওয়াজ বলেছেন, ‘‘ভারতীয় ব্যাটাররা খুব আগ্রাসী ভাবে শুরু করে। বোঝাই যাচ্ছিল ওদের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল আমাদের বিরুদ্ধে। তবু ভারতকে ১৮১ রানে আটকে রাখতে পেরেছিলাম। রিজওয়ানের সঙ্গে আমার কথা হয়। ও বলেছিল, এই উইকেটে ২০০ রান তোলা সম্ভব। রান তাড়া করতে আমাদের খুব বেশি সমস্যা হয়নি।’’ কোহলীও মেনে নিয়েছিলেন, নওয়াজের ইনিংসই পার্থক্য গড়ে দেয় দু’দলের মধ্যে।