শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বড় রান করলেন শাকিবরা। —ফাইল চিত্র
রানে ফিরল বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে যে ভুল করেছিলেন, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সেটা করলেন না শাকিব আল হাসানরা। পাওয়ার প্লে কাজে লাগালেন। আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ব্যাট করলেন। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়লেও রানের গতি কমল না। মেহেদি হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেনের মতো তরুণ ক্রিকেটাররা নজর কাড়লেন। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান করল বাংলাদেশ। জয়ের জন্য শ্রীলঙ্কাকে করতে হবে ১৮৪ রান।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। সাব্বির রহমানের সঙ্গে মেহেদি হাসান মিরাজকে পাঠিয়ে চমক দেন শাকিবরা। সেই সিদ্ধান্ত কাজে লাগে। সাব্বির রান না পেলেও মেহেদি দ্রুত রান তুলতে থাকেন। পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়ে দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন তিনি। মাত্র পাঁচ রান করে আসিথা ফার্নান্ডোর বলে আউট হন সাব্বির।
তিনে ব্যাট করতে নামেন দলের অধিনায়ক শাকিব। প্রথম বলেই তিনি যে ভাবে ব্যাট চালান তাতেই বোঝা যাচ্ছিল কতটা অস্থির হয়ে রয়েছেন তিনি। মাঝে মাঝে বড় শট মারলেও খুব একটা ছন্দে ছিলেন না তিনি।মেহেদির ব্য়াটে পাওয়ার প্লে-তে ৫৫ রান করে বাংলাদেশ। কিন্তু তার পরে স্পিনাররা আক্রমণে আসতেই ছন্দপতন। প্রথম ওভারেই মেহেদিকে বোল্ড করেন ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গ। ২৬ বলে ৩৮ রান করেন তিনি। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম চার নম্বরে নেমে শাকিবের সঙ্গে জুটি বাঁধতে পারেননি। চার রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
দলের রান এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব ছিল শাকিবের কাঁধে। কিন্তু ২৪ রান করে মাহেশ থিকশানার বলে তিনি আউট হলে বাংলাদেশ চাপে পড়ে যায়। আফিফ হোসেন শুরু থেকে বড় শট খেললেও অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লার ব্যাট চলছিল না।
১৪ ওভারের পর থেকে বাংলাদেশের রানের গতি বাড়ে। আফিফের পাশাপাশি মাহমুদুল্লাও হাত খোলা শুরু করেন। বেশি আক্রমণাত্মক দেখাচ্ছিল বাঁ হাতি আফিফকে। ফিল্ডার অনুযায়ী শট খেলছিলেন তিনি। রান আসতে থাকায় কিছুটা চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। বাঁ হাতি, ডান হাতি জুটিতে দ্রুত রান উঠছিল।
দেখে মনে হচ্ছিল অর্ধশতরান করবেন আফিফ। কিন্তু ২২ বলে ৩৯ রান করে বড় শট খেলতে গিয়ে সাজঘরে ফিরলেন তিনি। ২৭ রান করে পরের ওভারেই আউট হয়ে দেলেন মাহমুদুল্লা।
দু’জন আউট হওয়ার পরে দলের রানকে টেনে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব ছিল মোসাদ্দেকের। আগের ম্যাচে যেখানে শেষ করেছিলেন সেখান থেকে ব্যাট করা শুরু করলেন তিনি। প্রথম বল থেকেই বড় শট খেললেন। শেষ পর্যন্ত ১৮৩ রানে শেষ হল বাংলাদেশের ইনিংস। মোসাদ্দেক ২৪ রান করে অপরাজিত থাকলেন। এখন দেখার দুবাইয়ের উইকেটে শ্রীলঙ্কাকে এই রানের মধ্যে বাংলাদেশের বোলাররা আটকে রাখতে পারেন কি না।