Ashes 2023

অ্যাশেজ সিরিজ়ে সম্ভবত আর খেলতে পারবেন না লায়ন, তবু ক্রাচ নিয়ে দলের সঙ্গে এলেন মাঠে

দ্বিতীয় দিন খেলার সময় ডান পায়ের পেশিতে চোট পেয়েছিলেন লায়ন। ফিজিয়োর সাহায্যে মাঠ ছেড়েছিলেন। হয়ত অ্যাশেজে আর খেলতে পারবেন না তিনি। তবু শুক্রবার দলের সঙ্গে মাঠে এসেছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৩ ১৭:৩৯
Share:

নাথান লায়ন। —ফাইল চিত্র।

অ্যাশেজ সিরিজ়ে সম্ভবত আর খেলতে পারবেন না নাথান লায়ন। লর্ডসে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন পায়ের বেশিতে চোট পেয়েছেন অসি অফ স্পিনার। তবু শুক্রবার ক্রাচে ভর দিয়ে দলের সঙ্গে মাঠে এলেন তিনি।

Advertisement

বুধবার অ্যাশেজ সিরিজ়ের দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর সঙ্গে সঙ্গে দেশের হয়ে টানা ১০০টি টেস্ট খেলার নজির গড়েছিলেন লায়ন। বিশ্বের ষষ্ঠ ক্রিকেটার হিসাবে এই নজির গড়েছিলেন তিনি। মাইলফলক স্পর্শ করা এই টেস্টই বেশ কিছু দিনের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে দিয়েছে তাঁকে। বৃহস্পতিবার ডান পায়ের বেশিতে চোট পান। ফিজিয়োর সাহায্য নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। চোটের জন্য ভাল করে হাঁটতেও পারছেন না তিনি। ক্রাচের সাহায্য নিতে হচ্ছে তাঁকে। ডান পায়ের চোটের জায়গায় ব্যান্ডেজ বাধা রয়েছে। ফলে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে তাঁর খেলার আর সম্ভাবনা নেই। মনে করা হচ্ছে, অ্যাশেজ সিরিজ়ের পরের তিনটি টেস্টেও তিনি আর খেলতে পারবেন না।

মাঠে নামতে না পারলেও শুক্রবার সকালে প্যাট কামিন্সদের সঙ্গে মাঠে এসেছেন তিনি। ক্রাচের সাহায্য নিয়ে তাঁকে হেঁটে স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেখা গিয়েছে। মাঠের ধারে তৃতীয় আম্পায়ার মারাইস ইরাসমাসের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। লায়নের চোট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সহ-অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ বলেছেন, ‘‘লর্ডসে আমরা আর লায়নকে পাব না। মনে হয় বেশ কিছু দিন মাঠের বাইরে থাকতে হবে ওকে। লায়নকে দেখে আমাদের ভাল মনে হচ্ছে। ওর চোট আমাদের জন্য বড় ক্ষতি।’’

Advertisement

লায়নের চোট ঠিক কতটা গুরুতর তা নিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া পরিষ্কার করে কিছু জানায়নি। আশা করা হচ্ছে লর্ডস টেস্ট শেষ হওয়ার পর লায়নের চোট নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের জানানো হতে পারে।

বিশ্বের প্রথম বোলার হিসাবে দেশের হয়ে টানা ১০০টি টেস্ট খেলার কৃতিত্ব অর্জন করার ম্যাচেই বড় চোট পাওয়ায় হতাশ লায়ন। তিনি খেলতে না পারায় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার হাতে কোনও স্পিনার থাকল না। অ্যাশেজ সিরিজ় নিছক ক্রিকেটের লড়াই নয়। এই সিরিজ়ের সঙ্গে যুক্ত দু’দেশের সম্মান। জড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস। যা কিছুটা ব্যাঙ্গাত্মক। খানিকটা শোকেরও। ১৮৮২ সালে ওভালে আয়োজিত টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার কাছে প্রথম হেরেছিল ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার ফ্রেড স্পফোর্থের অনবদ্য বোলিংয়ের কাছে হারতে হয়েছিল ইংরেজদের। চতুর্থ ইনিংসে ৮৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিততে পারেনি তারা। স্পফোর্থ ৪৪ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন। ০-১ ব্যবধানে সিরিজ় হেরে গিয়েছিল। পরের দিন ইংল্যান্ডের সংবাদ পত্র ‘দ্য স্পোর্টিং টাইমস্‌’ তাদের প্রতিবেদনে ক্রিকেট দলের তীব্র সমালোচনা করেছিল। লেখা হয়েছিল, ইংরেজ ক্রিকেটকে চিরস্মরণীয় করে রাখল ওভালের ২৯ আগস্ট, ১৮৮২ তারিখটি। গভীর দুঃখের সাথে বন্ধুরা তা মেনে নিয়েছে। ইংরেজ ক্রিকেটকে ভস্মীভূত করা হয়েছে এবং ছাইগুলো অস্ট্রেলিয়াকে দেওয়া হয়েছে। এর পরের বছর সিরিজ় পুনরুদ্ধার করতে অস্ট্রেলিয়ায় যায় ইংল্যান্ড। সংবাদমাধ্যমের ব্যঙ্গ মনে রেখে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক আইভো ব্লাই বলেছিলেন, তাঁরা অ্যাশেজ পুনরুদ্ধার করতে অস্ট্রেলিয়ায় এসেছেন।

শুক্রবার ক্রাচে ভর দিয়ে লায়ন মাঠে আসেন সতীর্থদের সঙ্গে। ছবি: টুইটার।

সে সময় কয়েকজন অস্ট্রেলীয় মহিলা ব্লাইকে আগের সিরিজ়ের পরাজয় নিয়ে পাল্টা ব্যঙ্গ করে ছাই ভর্তি একটি পাত্র দিয়েছিলেন। যাতে ছিল উইকেটের উপরে থাকা বেলের ছাই। তার পর থেকে দু’দেশের টেস্ট সিরিজ় ‘অ্যাশেজ’ বলে পরিচিত হয়। ব্লাই অবশ্য ছাইয়ের সেই আধারটি ব্যক্তিগত উপহার হিসাবে নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন। বিজয়ী দলকে ট্রফি হিসাবে তা দেওয়া হত না তখন। ব্লাইয়ের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী লর্ডসের এমসিসি জাদুঘরে সেই পাত্রটি দান করে দিয়েছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement