মন জিতলেন কামিন্স। ফাইল ছবি
সাম্প্রতিককালে বিতর্কে বিদ্ধ হয়েছেন একের পর এক অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। স্টিভ স্মিথ থেকে টিম পেন, বিভিন্ন অধিনায়কের গায়েই ছিটেছে কলঙ্কের দাগ। কিন্তু প্রথম বার দায়িত্ব পেয়েই অধিনায়ক হিসেবে নিজের জাত চিনিয়ে দিলেন প্যাট কামিন্স। তাঁর নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া ৪-০ ব্যবধানে অ্যাশেজ জিতেছে। পাশাপাশি আরও একটি কারণে ক্রিকেটদুনিয়ার প্রশংসা কুড়োলেন কামিন্স।
রবিবার হোবার্টের বেলেরিভ ওভালে ইংল্যান্ডকে ১৪৬ রানে হারিয়ে পঞ্চম টেস্ট জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। তারপরেই ক্রিকেটারদের হাতে ট্রফি তুলে দেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন উসমান খোয়াজাও। কিন্তু দলের ক্রিকেটাররা শ্যাম্পেন নিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করার আগেই সেখান থেকে সরে যাচ্ছিলেন তিনি। মুসলিম হওয়ায় ধার্মিক কারণেই নিজেকে অ্যালকোহল থেকে দূরে রাখেন খোয়াজা। তাঁকে দূরে চলে যেতে দেখে সতীর্থদের থামিয়ে দেন কামিন্স। তাঁদের বলেন, শ্যাম্পেনের বোতল দূরে সরিয়ে রাখতে। এরপরেই খোয়াজাকে ডেকে নেন তিনি। তারপরে সবাই মিলে ট্রফি নিয়ে মাতামাতি করতে থাকেন। কিছুক্ষণ পরে খোয়াজা সরে গেলে শ্যাম্পেন নিয়ে উচ্ছ্বাসে মাতেন অস্ট্রেলিয়ার বাকি ক্রিকেটাররা।
এই ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ার পরেই কামিন্সকে নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়েছে। অধিনায়ক হিসেবে তিনি কত বড় মনের, তারই পরিচয় দিলেন বলে মনে করছেন অনেকে।
কেন এমন কাজ করলেন তার উত্তর দিতে কামিন্স বলেছেন, “আমাদের মধ্যে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ক্রিকেটার রয়েছে। আমরা সবাইকে নিয়ে উচ্ছ্বাস করতে চাই। প্রত্যেকে যাতে নিজেকে এই দলের সদস্য হিসেবে মনে করে, সেটা নিশ্চিত করাই আমার দায়িত্ব। প্রত্যেকে প্রচণ্ড খুশি ছিল। দলে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা রয়েছে। ছবি তোলার সময় সমস্ত সতীর্থ যাতে একসঙ্গে থাকে তার জন্যই এই কাজ আমি করেছি।”
প্রায় আড়াই বছর পর দলে ফিরে চতুর্থ টেস্টের দুই ইনিংসেই শতরান করেন খোয়াজা। তবে হোবার্টে পঞ্চম টেস্ট তিনি সফল হতে পারেননি।