অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা সৌরভ পাল এবং শতরানকারী অনুষ্টুপ মজুমদার। ছবি: সিএবি।
প্রত্যাশিত ভাবেই রঞ্জি ট্রফি অভিযান শুরু করল ভারত। অনুষ্টুপ মজুমদারের শতরান এবং অভিষেককারী ওপেনিং ব্যাটার সৌরভ পালের ৯৬ রানের ইনিংসের সুবাদে অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে ভাল জায়গায় বাংলা। বিশাখাপত্তনমের ২২ গজে প্রথম দিনের শেষে মনোজ তিওয়ারিদের রান ৪ উইকেটে ২৮৯।
অভিমন্যু ঈশ্বরণ, মুকেশ কুমার রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। তাঁদের অনুপস্থিতিতে শুক্রবার বাংলার তিন ক্রিকেটারের অভিষেক হল। সৌরভ ছাড়াও বাংলার হয়ে প্রথম মাঠে নামলেন অপর ওপেনার শ্রেয়াংশ ঘোষ। রঞ্জি ট্রফিতে বাংলার হয়ে অভিষেক হল মহম্মদ শামির ভাই মহম্মদ কাইফেরও। তাঁদের মধ্যে রঞ্জি ট্রফির প্রথম দিনেই নজর কাড়লেন সৌরভ। ক্রিকেটজীবনের প্রথম রঞ্জি ইনিংসে শতরান হাতছাড়া করলেও দলকে নির্ভরতা দিলেন। ২৩২ বলের ইনিংসে করলেন ৯৬ রান। তাঁর ব্যাট থেকে এল ১০টি চার। একটি ছয় মারেননি তিনি। ঝুঁকি না নিয়ে ব্যাট করার চেষ্টা করেছেন গোটা ইনিংসে। ভাল শুরু করলেও শ্রেয়াংশ অবশ্য রান পেলেন না। ২২ বলে ১১ রান করে আউট হন তিনি। তিন নম্বরে নেমে রান পেলেন না বাংলার সাদা বলের ক্রিকেট অধিনায়ক সুদীপ কুমার ঘরামি। ২টি চারের সাহায্যে ১৮ করেন তিনি।
৬২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় বাংলা। তৃতীয় উইকেটে সৌরভ এবং অনুষ্টুপের ১৮৯ রানের জুটি অন্ধ্রপ্রদেশ শিবিরে পাল্টা লড়াই পৌঁছে দেয়। সৌরভ শতরান হাতছাড়া করলেও অভিজ্ঞ অনুষ্টুপ খেললেন ১২৫ রানের ঝকঝকে ইনিংস। তাঁর ১৩৯ বলের ইনিংসে রয়েছে ১৫টি চার এবং ২টি ছয়। দিনের শেষে উইকেটে রয়েছেন অধিনায়ক মনোজ এবং কাইফ। মনোজ ১৫ রান করে অপরাজিত আছেন। দিনের খেলার শেষ দিকে অনুষ্টুপ আউট হওয়ায় নাইট ওয়াচ ম্যান হিসাবে নামানো হয় কাইফকে। শামির ভাই এ দিন কোনও রান করতে পারেননি।
অন্ধ্রপ্রদেশের সফলতম বোলার ললিত মোহন। ৯১ রান খরচ করে ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। শোয়েব মহম্মদ খান ৪৬ রানে ১ উইকেট এবং নীতীশ রেড্ডি ৫৭ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন।