মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ফাইল ছবি।
সম্পত্তির পরিমাণ ৮১৯ কোটি টাকা। এই অগাধ সম্পত্তির মালিকই ফেঁসে গেলেন মাত্র ৩০ কোটি টাকার চেক বাউন্সের ঘটনায়। যিনি ফাঁসলেন, তিনি আবার যে-কেউ নন, মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। একটি চেক বাউন্স করায় বিহারের বেগুসরাইয়ে ধোনি-সহ আট জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে অভিযোগকারী এসকে এন্টারপ্রাইজ নামে একটি সংস্থা।
বিশ্বের দ্বিতীয় বিত্তবান ক্রিকেটার ধোনি। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮১৯ কোটি টাকারও বেশি। ২০২১ সালেও তিনি আয় করেছেন ৭৪.৪৯ কোটি টাকা। বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৫০ কোটি টাকার বেশি। তাঁর গ্যারাজ সাজানো বহুমূল্য বাইক এবং গাড়িতে। তাঁর বিরুদ্ধেই আনা হয়েছে ৩০ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ।
কৃষিকাজে ব্যবহৃত একটি সারের বিজ্ঞাপনে কাজ করে এই সমস্যায় জড়িয়েছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। ঘটনার সঙ্গে তাঁর সরাসরি যোগাযোগ না থাকলেও দুই সংস্থার ব্যবসায়িক সংঘাতের জন্য তাঁকেও যুক্ত করা হয়েছে মামলায়।
অভিযোগ, নিউ গ্লোবাল প্রোডিউস ইন্ডিয়া লিমিটেড নামে একটি সংস্থা ৩০ লক্ষ টাকার চেক দিয়েছিল এসকে এন্টারপ্রাইজকে। সেই চেকটি বাউন্স করেছে। তার পরেই সংস্থাটি বেগুসরাইয়ের থানায় এফআইআর দায়ের করেছে মোট আট জনের বিরুদ্ধে। সেই আট জনের মধ্যেই রয়েছে ধোনির নাম।
চেন্নাই সুপার কিংস অধিনায়ক একটি সারের বিজ্ঞাপন করেন। পণ্যটির সঙ্গে ধোনির নাম ব্যবহার করা হয়। এই বিজ্ঞাপনের কাজ নিয়ে নিউ গ্লোবাল প্রোডিউস ইন্ডিয়া লিমিটেডের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি হয় এসকে এন্টারপ্রাইজের। সেই চুক্তি মতো এসকে এন্টারপ্রাইজকে ৩০ লক্ষ টাকার চেক দেয় নিউ গ্লোবাল প্রোডিউস ইন্ডিয়া লিমিটেড। সেই চেকই বাউন্স করেছে।
আগেই নিউ গ্লোবাল প্রোডিউস ইন্ডিয়া লিমিটেডকে আইনি নোটিস পাঠায় এসকে এন্টারপ্রাইজ। কিন্তু তারা কোনও উত্তর দেয়নি। এর পরেই এফআইআর করেছে এসকে এন্টারপ্রাইজ। তাদের তৈরি পণ্যের বিজ্ঞাপন করায় ধোনির নামও রয়েছে এফআইআর-এ। সোমবার সিজেএম মামলার প্রথম শুনানি হয়েছে। পরবর্তী শুনানি ২৮ জুন।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।