অম্বাতি রায়ডু। — ফাইল চিত্র
সম্প্রতি চেন্নাইয়ের হয়ে আইপিএল জিতেছেন অম্বাতি রায়ডু। ক্রিকেটার হিসাবে যা তাঁর ষষ্ঠ ট্রফি। তার পরেই ঘরোয়া ক্রিকেটে স্বজনপোষণ নিয়ে মুখ খুললেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার। জানালেন, কী ভাবে বোর্ডের এক প্রাক্তন সভাপতি তাঁর ক্রিকেটজীবন শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন। তাঁর উন্নতি দেখে হিংসের বশে ভারতের হয়ে তাঁর অভিষেক হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।
রায়ডু যাঁর দিকে অভিযোগ করেছেন, তিনি প্রাক্তন ক্রিকেটার ও বোর্ড প্রধান শিবলাল যাদব। রায়ডু হায়দরাবাদের হয়ে খেলার সময় শিবলালের ছেলে অর্জুনও দলে ছিলেন। শিবলাল তখন হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি। অর্জুনের থেকে ভাল খেলছিলেন রায়ডু। এতেই তাঁর প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়েন শিবলাল। ভারতের হয়ে খেলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান। তাঁর ক্রিকেটজীবন শেষ করে দেওয়ারও চেষ্টা করেন।
এক তেলুগু চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে রায়ডু বলেছেন, “ছোটবেলা থেকে ক্রিকেটে রাজনীতি দেখে আসছি। হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থাতেও দেখেছি। শিবলালের ছেলে অর্জুন ভারতীয় দলের হয়ে খেলতে চেয়েছিল। কিন্তু সুযোগ পায়নি। যে হেতু আমি অর্জুনের থেকে ভাল খেলছিলাম, তাই ওরা আমাকে দল থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করছিল। তখন আমার ১৭ বছর বয়স। কিন্তু অর্জুন ভারতের হয়ে দ্রুত খেলার জন্যে উঠেপড়ে লেগেছিল। আমার ছোটবেলায় হায়দরাবাদের ক্রিকেটে যে ক্যানসার ধরা পড়েছিল তা এখন চতুর্থ স্টেজে পৌঁছে গিয়েছে।”
রায়ডু আরও বলেছেন, “২০০৩-০৪ মরসুমে ভারত ‘এ’ দলের হয়ে দারুণ খেলেছিলাম। তার পরেই নির্বাচক কমিটি বদলে যায় এবং শিবলালের ঘনিষ্ঠরা সেখানে আসে। আমাকে সুযোগ দেওয়া হয়নি। ওদের নির্দেশে অন্তত চার বছর কেউ আমার সঙ্গে কথা বলেনি। শিবলালের ভাই মত্ত হয়ে এসে আমাকে হুমকি দিয়েছে এবং মানসিক ভাবে আঘাত দেওয়ার চেষ্টা করেছে।”
হায়দরাবাদ ছেড়ে ২০০৫ সালে অন্ধ্রপ্রদেশে যোগ দেন রায়ডু। পরের বছরই দুই দলের একটি ম্যাচে অর্জুনের সঙ্গে রায়ডুর ব্যাপক ঝামেলা হয়। অন্য দিকে, ২০১৪ সালে এন শ্রীনিবাসনকে বরখাস্ত করার পর অন্তর্বর্তিকালীন বোর্ড সভাপতি করা হয়েছিল শিবলালকে। খুব কম দিনই পদে ছিলেন তিনি।