পোলভল্ট প্রতিযোগীরা যে পোল ব্যবহার করেন সেগুলি তিন থেকে পাঁচ মিটারের মধ্যে লম্বা হয়। প্রতিযোগীরা নিজেদের সুবিধা মতো পোল ব্যবহার করেন। তাই তাঁদের নিজেদের সেই পোল নিয়ে সঙ্গে করে নিয়ে যেতে হয়।
হেনস্থার মুখে জাতীয় চ্য়াম্পিয়ন ছবি: টুইটার
এক দিন আগেই পোলভল্টে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তামিলনাড়ুর ত্রিবান্দ্রমের পবিত্রা বেঙ্কটেশ। অথচ তার পরেও হেনস্থার শিকার হলেন তিনি। প্রতিযোগিতা সেরে বাড়ি ফেরার পথে ট্রেনের জানলায় পোল বাঁধা থাকায় আপত্তি করেন টিকিট পরীক্ষক। তাঁর নির্দেশে পবিত্রা-সহ চার প্রতিযোগীকে সালেম যাওয়ার আগেই কোল্লাম স্টেশনে নেমে পড়তে হয়। বেশ কয়েক ঘণ্টা সেখানে থাকার পরে ফের ট্রেনে ওঠার অনুমতি পান তাঁরা।
পবিত্রা এই ঘটনার কথা নেটমাধ্যমে জানান। তিনি বলেন, ‘‘কোল্লাম স্টেশনে আমাদের সঙ্গে আরপিএফ ছিল। কিন্তু দেখে মনে হচ্ছিল আমরা কিছু চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছি। আমাদের পোলগুলো স্টেশনের মধ্যে ফেলে রাখা হয়েছিল। যখন সবার সামনে আমাদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছিল তখন খুব খারাপ লাগছিল। জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার এক দিনের মধ্যে এমন হেনস্থার শিকার হতে হল।’’
পোলভল্ট প্রতিযোগীরা যে পোল ব্যবহার করেন সেগুলি তিন থেকে পাঁচ মিটারের মধ্যে লম্বা হয়। প্রতিযোগীরা নিজেদের সুবিধা মতো পোল ব্যবহার করেন। তাই তাঁদের নিজেদের সেই পোল নিয়ে সঙ্গে করে নিয়ে যেতে হয়। পোল নিয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যেই তাঁদের সমস্যা হয় বলে জানিয়েছেন পোলভল্টে জাতীয় রেকর্ডধারী সুব্রহ্মণি শিবা।
তাঁকেও এই সমস্যায় পড়তে হয়েছিল বলে জানিয়েছেন শিবা। তিনি বলেন, ‘‘এই ধরনের ঘটনার ফলে ছোটরা এই খেলায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। এমনিতেই নিজেদের সর়ঞ্জাম বয়ে বেড়াতে হয়। তার উপর রেলের কর্মীরা আরও বেশি সমস্যা করেন। গত বছর আমাকেও ট্রেন থেকে নামতে বলা হয়েছিল। আমি সেনাবাহিনীতে কর্মরত। তাই সেনার আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে শেষ পর্যন্ত আমাকে যেতে দেওয়া হয়। কিন্তু ছোটরা কী ভাবে এই সব সমস্যা সামলাবে।’’
এই ঘটনার পরে রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ট্রেনের জানলার সঙ্গে পোল বাঁধা থাকলে সেই পোল বাইরের কোনও কিছুর সঙ্গে ধাক্কা লাগতে পারে। যাত্রীদেরও সমস্যা হতে পারে। সে কথা মাথায় রেখেই হয়তো টিকিট পরীক্ষক ওদের নামতে বলেছিলেন। রেলমন্ত্রক সবসময় খেলা ও খেলোয়াড়দের উৎসাহ দেয়। টিকিট পরীক্ষকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে খেলোয়াড়দের সঙ্গে ভাল ভাবে কথা বলার।