রিঙ্কু সিংহ। —ফাইল চিত্র।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে যে ব্যাটিংটা করেন, রিঙ্কু সিংহ ভারতের জার্সিতে প্রথম বার ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে ঠিক সেটাই করলেন!
ডাবলিনে সেরার পুরস্কার নিয়ে রিঙ্কু বললেন, ‘‘ভাল কিছু করার আত্মবিশ্বাস নিয়েই ব্যাট করতে নেমেছিলাম। লক্ষ্য ছিল আইপিএলের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর। মনে হয় সেটাই ঠিকঠাক করতে পেরেছি। দলের রানও ভাল জায়গায় পৌঁছেছে।’’
তিনি যোগ করেন, ‘‘আসলে আমি ক্রিকেট খেলছি টানা দশ বছর। উঠেও এসেছি খুবই সাধারণ পরিবার থেকে। বলতে পারেন, কঠোর পরিশ্রমের ফল এখন পাচ্ছি। বেশি ভাল লাগছে, আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রথম ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে সেরার পুরস্কার হাতে নিয়ে। এতটা ভাবতে পারিনি। এখন এই ছন্দটাই ধরে রাখতে হবে।’’
চোট সারিয়ে প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের পরে যশপ্রীত বুমরা বলেছিলেন, ‘‘শুরুর অনুভূতি খুবই ভাল। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে অনেক সেশন বল করেছি। তাই একেবারেই ক্রিকেটের মধ্যে ছিলাম না মনে হয়নি কখনও। যার কৃতিত্ব ওখানকার কর্মীদের। ওঁরাও আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছেন।’’
প্রথম ম্যাচে বুমরার খামতিটা ছিল গতিতে। আয়ারল্যান্ড সিরিজ়ের নেতা নিজেই সে কথা মেনে নিলেন, ‘‘আমিও সেটা জানি। দ্বিতীয় ম্যাচে মনে হয় গতিও কিছুটা বাড়াতে পেরেছি। তা ছাড়া রানআপের সময় যে ছন্দ দরকার, ফিরে পেয়েছি সেটাও। জানতাম পিচ ক্রমশ মন্থর হয়ে যাবে। তাই যত বেশি সম্ভব রান তোলার কথা বলেছিলাম সবাইকে। ওরা আমার কথা রেখেছে। যে রানটা ওরা তুলে দিয়েছে তাতে বোলারদের কাজও সহজ হয়ে গিয়েছিল। আমি আপ্লুত।’’
বুমরা আরও বলে যান, ‘‘নেটে সবাই এতটাই ভাল করছে যে, এগারো জন বেছে নেওয়াই কঠিন হয়ে পড়ছে। অধিনায়ক হিসেবে আমি এর বেশি কিছু চাইতে পারি না। প্রত্যেকে নিজেকে উজাড় করে দিচ্ছে। দিচ্ছে মাঠের বাইরেও। এমনিতে আমাকে নিয়ে প্রত্যাশার ব্যাপারে খুব বেশি ভাবি না। সেটা ভাবলেই দেখেছি চাপ তৈরি হয়। এই ব্যাপারটা সামলানোই শেখার। সিরিজ় জিতে খুবই ভাল লাগছে। ভাল লাগছে আগের মতো ক্রিকেট খেলছি ভেবেও।’’