হার্দিক পাণ্ড্য। —ফাইল চিত্র।
হার্দিক পাণ্ড্য ফিরছেন পুরনো দলে। তা হলে কে হবেন গুজরাত টাইটান্সের নতুন অধিনায়ক? দেশি-বিদেশি মিলিয়ে পাঁচ জন ক্রিকেটারের নাম উঠে আসছে সম্ভাব্য অধিনায়ক হিসাবে। আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজ়িটির পক্ষ থেকে কিছু না জানানো হলেও চলছে জল্পনা।
নেতৃত্ব দিতে পারেন এমন একাধিক ক্রিকেটার রয়েছেন গুজরাত দলে। অভিজ্ঞ ক্রিকেটার যেমন রয়েছেন, তেমন তরুণেরাও রয়েছেন। এই দলের হয়েই আইপিএল খেলেন বাংলার দুই ক্রিকেটার ঋদ্ধিমান সাহা এবং মহম্মদ শামি। তাঁরা অবশ্য কেউই নেতৃত্বের দৌড়ে নেই। মনে করা হচ্ছে, পাঁচ জন ক্রিকেটারের এক জনকে দেখা যেতে পারে গুজরাতের নতুন অধিনায়ক হিসাবে। তাঁদের কয়েক জন দলেই রয়েছেন। আবার অধিনায়ক করার জন্যই আগামী নিলাম থেকে কেনা হতে পারে কলকাতা নাইট রাইডার্সের এক প্রাক্তন সদস্যকে।
রশিদ খান: গুজরাতের অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন রশিদ। আফগানিস্তানের লেগ স্পিনার প্রথম একাদশের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। সতীর্থদের মধ্যে জনপ্রিয়। তাঁকে অধিনায়ক করে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা করতে পারেন গুজরাত কর্তৃপক্ষ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রচুর অভিজ্ঞতাও রয়েছে ২৫ বছরের অলরাউন্ডারের।
শুভমন গিল: কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রাক্তন সদস্যকে ভারতীয় দলের ভবিষ্যৎ নেতা হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে কোনও কোনও মহল থেকে। গুজরাতের অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন তরুণ ওপেনিং ব্যাটারও। ২০২৩ সালের আইপিএলে ১৭টি ম্যাচে ৮৯০ রান করেছিলেন ২৪ বছরের ক্রিকেটার। তাঁকেও দেখা যেতে পারে গুজরাতের অধিনায়ক হিসাবে।
কেন উইলিয়ামসন: ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার। নিউ জ়িল্যান্ডের অধিনায়ক। অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। গত বছর আইপিএলের প্রথম ম্যাচেই চোট পেয়েছিলেন। আর খেলতে পারেননি। অধিনায়ক হিসাবে পরীক্ষিত। তাঁকেও দায়িত্ব দিতে পারেন গুজরাত কর্তৃপক্ষ।
ডেভিড মিলার: অধিনায়ক করা হতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার ডেভিড মিলারকে। গুজরাতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার মিলার। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিজ্ঞ। নেতৃত্ব দেওয়ার গুণ রয়েছে তাঁর।
প্যাট কামিন্স: প্রথম চার জন গুজরাতেই রয়েছেন গত দু’বছর ধরে। তাঁদের মধ্যে থেকে কাউকে অধিনায়ক করা না হলে, ১৯ ডিসেম্বরের নিলামে গুজরাত কর্তৃপক্ষ ঝাঁপাতে পারে কামিন্সের জন্য। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ককে পেলে তাঁকেও নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।