রোহিত শর্মা। —ফাইল চিত্র।
এ বারের বিশ্বকাপের পর পর চারটি ম্যাচ জিতে নিল ভারত। বাংলাদেশকে সহজেই হারিয়ে দিলেন রোহিত শর্মারা। কিন্তু তার পরেও ভারতীয় দলের তিন জনকে নিয়ে চিন্তা রয়ে গেল। বিশ্বকাপ জিততে হলে সেই ফাঁকগুলিও ভরাট করে ফেলা দরকার রাহুল দ্রাবিড়দের। কী কী চিন্তা নিয়ে ধর্মশালায় যাচ্ছে ভারত?
হার্দিক পাণ্ড্য
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চোট পেয়েছেন হার্দিক। ভারতীয় অলরাউন্ডার ব্যাটে, বলে দলের বড় ভরসা। তিনি সহ-অধিনায়কও। এমন এক জন ক্রিকেটার চোট পেয়ে যাওয়ায় অবশ্যই চিন্তা থাকবে রোহিতদের। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, হার্দিকের স্ক্যান করা হয়েছে। চোট কতটা গুরুতর তা এখনও জানানো হয়নি। কিন্তু বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বল করতে পারেননি হার্দিক। ব্যাট করার প্রয়োজন হয়নি। নবম ওভারে বল করার সময় চোট পেলেন হার্দিক। তাঁর বলে স্ট্রেট ড্রাইভ মারেন লিটন দাস। সেই বল পা দিয়ে আটকাতে গিয়েছিলেন হার্দিক। সেই সময় পড়ে যান তিনি। হার্দিকের পায়ের উপর তাঁর পুরো শরীরের ওজন পড়ে গিয়েছিল। তাতেই চোট লাগে ভারতীয় অলরাউন্ডারের। খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে।
শ্রেয়স আয়ার
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অর্ধশতরান করায় স্বস্তি পেয়েছিলেন সমর্থকেরা। কিন্তু চোট সারিয়ে ফেরা শ্রেয়সকে নিয়ে চিন্তা থাকছেই। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে কোনও রান করেননি তিনি। দায়িত্বহীন শট খেলে উইকেট ছুড়ে দিয়ে এসেছিলেন। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে অপরাজিত ছিলেন ২৫ রানে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপরাজিত ছিলেন ৫৩ রানে। কিন্তু বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তাঁকে আবার দেখা গেল উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসতে। মাত্র ১৯ রান করলেন তিনি। চার নম্বরে নামা শ্রেয়স যদি দায়িত্ব না নিতে পারেন তাহলে মিডল অর্ডারের উপর চাপ পড়তে বাধ্য। রোহিত এবং বিরাট কোহলি নিয়মিত রান করছেন। তাঁদের ব্যাট না চললে কী হবে ভাবলে চিন্তা থাকছে শ্রেয়সকে নিয়ে।
শার্দূল ঠাকুর
তিনি বলও করেন আবার ব্যাটও। কিন্তু বিশ্বকাপের মঞ্চে কোনওটাই করতে পারছেন না। হার্দিক সুস্থ না হলে দলের ভরসা হতে পারতেন অলরাউন্ডার শার্দূল। কিন্তু তিনি বল করতে এলেই ভয় পাচ্ছেন সমর্থকেরা। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শার্দূল খেলেননি। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৬ ওভারে ৩১ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২ ওভারের বেশি বল করানো হয়নি তাঁকে। কোনও উইকেট নিতে পারেননি। ১২ রান দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৯ ম্যাচে ৫৯ রান দিলেন। একটি উইকেট নিয়েছেন। তাঁকে যখনই বল করতে এনেছেন রোহিত, তখনই রান দিয়েছেন। হার্দিক মাত্র তিন বল করে উঠে যাওয়ায় এই ম্যাচে শার্দূলকে ৯ ওভার করানো হল। কিন্তু তিনি ভরসা দিতে পারলেন না।