নেমারের সঙ্গে ব্রাজিলের কোচ তিতে (বাঁ দিকে)। ফাইল ছবি
ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হতে বাকি আর এক মাস। তার আগে বেজায় চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন ব্রাজিলের কোচ তিতে। তাঁর হাতে আক্রমণভাগের একাধিক ফুটবলার রয়েছে। কাকে নেবেন আর কাকে বাদ দেবেন, সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি। এতটাই সমস্যা যে দুই সহকারী কোচের সঙ্গেই উত্তপ্ত কথাবার্তা চালাচালি হয়েছে তাঁর। শুধু তাই নয়, নেমারকে নিয়েও চিন্তা রয়েছে। এ বারের বিশ্বকাপে তিনি ভাল খেলতে পারবেন তো? প্রশ্ন সবারই।
তিতে পাশে দাঁড়িয়েছেন নেমারের। রাশিয়া বিশ্বকাপে খারাপ খেলার পর চাপ বাড়ছে নেমারের উপর। দেশ ২০ বছর বিশ্বকাপ জেতেনি। সেই ট্রফি জেতার ব্যাপারে অনেকেরই বাজি নেমারের উপর। দলের সেরা ফুটবলারকে নিয়ে আশাবাদী তিতে। বলেছেন, “নেমার একজন মানুষ। কোনও অতিমানব নয়। নিজের ভুলের কথা সবার আগে স্বীকার করেছে। কিছু মানুষ জানে কী ভাবে নিজেকে উন্নত করতে হয় এবং এগিয়ে যেতে হয়। তারা এতটাই সাহসী হয় যে নিজের ভুল স্বীকার করতে পিছপা হয় না। নেমারও ততটাই সাহসী।”
প্রতি মুহূর্তে পেলের সঙ্গে তুলনা করা হয় নেমারের। সেটাই কি চাপে ফেলে দিচ্ছে তাঁকে? তিতে তা মনে করেন না। বলেছেন, “কে কী বলছেন সেটা মাথায় রাখা উচিত নয় নেমারের। দুটো প্রজন্মের মধ্যে কখনওই তুলনা হয় না। অবাস্তবের মতো কথা। পেলের সঙ্গে কারওর তুলনা করা চলে না। কে দ্বিতীয় সেরা, তা নিয়ে কোনও দিনই তর্ক করা উচিত নয়।”
ব্রাজিল দলে আক্রমণভাগে যাঁর জায়গা নিশ্চিত, তিনি নেমার। এ ছাড়া তিতের হাতে ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রাফিনহা, রিচার্লিসন, অ্যান্টনি, গ্যাব্রিয়েল জেসাসের মতো বিকল্প রয়েছে। গত দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচে এত বেশি আক্রমণাত্মক দল খেলিয়েছেন তিনি যে অনেকেরই প্রশ্ন, আদৌ এই ভাবনা বাস্তববাদী কিনা। যদিও তিতে বলেছেন, “প্রত্যেককে সুযোগ দেওয়াই আমার লক্ষ্য। যে কেউ ম্যাচের ফলাফল পাল্টে দিতে পারে। তাই সবাইকে তৈরি থাকতে হবে। প্রত্যেক ম্যাচের আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে।” আগামী ৭ নভেম্বর দল ঘোষণা করতে পারে ব্রাজিল।
আক্রমণ ভাগে বেশি ফুটবলার দরকার হতে পারে তিতের। কারণ, রক্ষণ ভাগে সে রকম বিকল্প নেই তাঁর হাতে। সেন্টার ব্যাক হিসাবে খেলতে চলা থিয়াগো সিলভার বয়স ৩৮ বছর। কাসেমিরা এখনও নতুন ক্লাবের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেননি। তবে তিতের কাছে এটা কোনও সমস্যাই নয়। বলেছেন, “ক্লাবের হয়ে সেরাটা দাও। বাইরের কথায় কান দিয়ো না।”