মিচেল স্টার্ক। ফাইল চিত্র।
২০১৫ বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার তিনি। বল হাতে ব্যাটসম্যানদের ত্রাস হয়ে উঠেছিলেন। ২২ উইকেট নিয়েছিলেন। মিচেল স্টার্ক কি এ বারও একই রকম ঘাতক হয়ে উঠতে পারবেন? প্রশ্নটা থাকছে।
গত কয়েক মাসে চোট-আঘাতের সমস্যা কাটিয়ে উঠে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হওয়াটাই স্টার্কের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে চলতি মাসেই ব্রিসবেনে নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে স্টার্কের প্রিয় অস্ত্রের ঝলক দেখা গিয়েছে। ঘণ্টায় ১৫০ কিমি গতিতে সুইং করা ইয়র্কার। শুধু ফিটনেসই নয়, স্টার্ক বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে মানসিকতায় পরিবর্তন এনেছেন। যেটা বিশ্বকাপে কাজে লাগবে আশা অস্ট্রেলিয়ার পেসারের।
পাশাপাশি ডেথ ওভারের জন্য বিশেষ প্রস্তুতিও নিচ্ছেন স্টার্ক এবং অস্ট্রেলিয়ার বাকি পেসাররা। শেষ ১০ ওভারে কী ভাবে ব্যাটসম্যানদের থামানো যায়, তার একটি নীল নকশা তৈরি করেছে অস্ট্রেলীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। যে নকশা অনুযায়ী, স্টার্কদের বলা হয়েছে ‘ওয়াইড ইয়র্কার’ অনুশীলন করতে।
আরও পড়ুন: কোহালি থেকে বুমরা, ভারতের বিশ্বকাপ দলের কোন বিভাগে সেরা কারা
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার টুইটারে পোস্ট করা এক ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, নেট প্র্যাক্টিসের সময় উইকেটের দু’ধারে বিশেষ ‘কোন’ রাখা হয়েছে। উইকেট আর সেই কোনের মধ্যেকার অংশটি লক্ষ্য করে ইয়র্কার ডেলিভারি করছেন অস্ট্রেলীয় পেসাররা। অর্থাৎ, বল ওয়াইডও হবে না, আবার ব্যাটসম্যানদের পক্ষে মারা কঠিনও হয়ে যাবে। স্টার্ক বলেছেন, ‘‘বোলারদের জন্য একটা টার্গেট প্র্যাক্টিসের সেশন হয়েছিল। আমরা জানি, ডেথ ওভারে ম্যাচের ফয়সালা হয়ে যায়। তাই এই বিশেষ অনুশীলন।’’ কোন বোলার কত ভাল ইয়র্কার করছেন, তার ভিত্তিতে নম্বরও দেওয়া হয়েছে। কে সব চেয়ে বেশি নম্বর পেলেন? স্টার্ক জানালেন, কেন রিচার্ডসন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে অস্ট্রেলিয়া এখন সাউদাম্পটনে। তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে তারা। বুধবার প্রথম ম্যাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। তার আগে স্টার্ক বললেন, ‘‘মানসিকতায় পরিবর্তন আনার ব্যাপারে আমি প্রায় তিন মাস ধরে কাজ করছি। ফলাফল নিয়ে এখন আর বেশি চিন্তা করি না। বেশি ভাবি, যে জিনিসগুলো আমার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তা নিয়ে। এতে লক্ষ্য ঠিক থাকছে।’’ নতুন বলে সুইং পাওয়ার ক্ষেত্রেও গত তিন মাসের প্রস্তুতি আরও সাহায্য করবে, বিশ্বাস অস্ট্রেলিয়ার এক নম্বর পেসারের।