অস্ট্রেলিয়ার মাঠে কামিন্সদের বাউন্সার। ছবি: পিটিআই
একের পর এক বাউন্সার আছড়ে পড়ছে ব্যাটসম্যানদের গায়, মাথায়। চোট পাচ্ছেন তাঁরা, নিতে হচ্ছে কনকাশন সাব। পেসারদের এই সেরা অস্ত্রের ওপরেই কি এবার কোপ পড়তে পারে?
ক্রিকেটের নিয়মক সংস্থা মেরিলিবন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে বাউন্সার নিয়ে। মাথায় বল লেগে ২০১৪ সালে মৃত্যু হয় ফিলিপ হিউজের। কনকাশন সাবের নিয়ম আসে ক্রিকেটে। প্রথম সাব হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন মার্নাস লাবুশানে। হেলমেটের মান উন্নত করা হয়েছে বাউন্সারের আঘাত থেকে বাঁচার জন্য। তবুও আঘাত পান ব্যাটসম্যানরা।
১৯৩২-৩৩ সালে বডিলাইন সিরিজের পর এমসিসি নিয়ম বদলায় ক্রিকেটের। ১৯৩৫ সালে বিমার দেওয়া বন্ধ হয়। ১৯৯১ সালে ওভারে একজন ব্যাটসম্যানকে একটি বাউন্সার দেওয়া যাবে, এমন নিয়ম করে এমসিসি। বার বার প্রতিবাদ করায় সেই নিয়ম পাল্টে যায় ১৯৯৪ সালে। এক ওভারে দুটো বাউন্সার দেওয়ার নিয়মে শিলমোহর দেয় এমসিসি। ২০১৪ সালে হিউজের মৃত্যুর দু’বছর পর ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড হেলমেট বাধ্যতামূলক ঘোষণা করে। ২০১৭ সালে টেলএন্ডারদের বাউন্সার দেওয়া নিয়ে এমসিসি দায়িত্ব দেয় আম্পায়ারদের। তারা চাইলে বাউন্সারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জানাতে পারেন।
বাউন্সার নিয়ে বার বার নিয়ম পাল্টেছে এমসিসি। ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে রবিচন্দ্রন অশ্বিনদের বার বার বিপাকে পড়তে দেখা গিয়েছে বাউন্সারের সামনে। সেই আক্রমণ সামলেই সিরিজ জিতেছেন অজিঙ্ক রাহানেরা। প্যাট কামিন্সদের সেই আক্রমণেই এবার বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে এমসিসি।