Diego Maldini

এ বার আক্রান্ত মালদিনি, সুস্থই আছেন বার্তা দিলেন ভক্তদের

রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ৫১ বছর বয়সি মালদিনির ছবি প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২০ ০৪:১২
Share:

নজরে: মালদিনিকে নিয়ে উদ্বেগ ফুটবল-বিশ্বে। ফাইল চিত্র

বিশ্ব ফুটবলের সর্বকালের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার মনে করা হয় তাঁকে। নিখুঁত ট্যাকলে বিপক্ষের ফরোয়ার্ডদের পা থেকে বল কেড়ে নিতেন তিনি। সেই পাওলো মালদিনিও এড়াতে পারলেন না করোনাভাইরাসের থাবা। ১৮ বছর বয়সি ছেলে ড্যানিয়েল মালদিনিকে নিয়ে গত দু’সপ্তাহ ধরে স্বেচ্ছাবন্দি কিংবদন্তি ইটালীয় ডিফেন্ডার।

Advertisement

এসি মিলানের যুব দল থেকে উত্থান মালদিনির। মাত্র ষোলো বছর বয়সে সিনিয়র দলে অভিষেক হয় তাঁর। পঁচিশ বছরে এসি মিলানের হয়ে সেরি আ-তে ৬৪৭টি ম্যাচ খেলার পরে অবসর নেন মালদিনি। কিন্তু প্রিয় ক্লাবের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিন্ন হয়নি। এই মুহূর্তে এসি মিলানের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর তিনি।

রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ৫১ বছর বয়সি মালদিনির ছবি প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে। কারণ, ইটালিতে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে করোনাভাইরাস। ৪৭ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা চার হাজারেরও বেশি।

Advertisement

বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডারের দ্রুত আরোগ্যকামনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন মালদিনির ভক্তেরা। ভারতীয় ফুটবলের সর্বকালের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার সুব্রত ভট্টাচার্যও উদ্বিগ্ন। তিনি বললেন, ‘‘মালদিনির মতো ডিফেন্ডার খুব কম দেখেছি। শুরুতে ছিল, লেফ্ট ব্যাক। পরে সেন্ট্রাল ডিফেন্সে খেলত। অবিশ্বাস্য অনুমান ক্ষমতা।’’ সুব্রত যোগ করেন, ‘‘রক্ষণাত্মক ফুটবলকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল মালদিনি। এত নিখুঁত ট্যাকল করত যে, রেফারি ফাউল দিতে পারতেন না। আশা করছি, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে মালদিনি এবং ওর ছেলে।’’

মালদিনির মতো ছেলে ড্যানিয়েলেরও উত্থান এসি মিলানের যুব দল থেকে। তবে তিনি বাবার মতো রক্ষণে খেলেন না। আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার হিসেবে খেলেন তিনি। এই মরসুমেই সিনিয়র দলে অভিষেক হয়েছে তাঁর। যদিও রবিবার এসি মিলানের তরফে জানানো হয়েছে, মালদিনি ও ড্যানিয়েল অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ক্লাবের তরফে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “পাওলো মালদিনি সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন। এই ভাইরাসের সংক্রমণ হলে যে লক্ষণগুলো দেখা যায়, তা তাঁর মধ্যে ফুটে উঠেছিল। টেস্টে তাঁর পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। একই অবস্থা তাঁর ছেলে ড্যানিয়েলেরও। দু’জনেই অবশ্য এখন ভাল আছেন। স্বেচ্ছাবন্দি অবস্থায় কাটিয়ে ফেলেছেন দু’সপ্তাহ। এই সময় কারও সংস্পর্শেও আসেননি ওঁরা। পুরোপুরি সেরে ওঠার জন্য যত দিন প্রয়োজন, তত দিন স্বেচ্ছাবন্দি থাকবেন দু’জনে।”

রবিবার আর এক তারকাকে নিয়েও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বে। তিনি, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের প্রাক্তনী মারুয়ান ফেলাইনি। তিনি এই মুহূর্তে চিন সুপার লিগের দল শ্যানডং লুনেনের ফুটবলার। গত ২০ মার্চ ট্রেনে করে জিনান প্রদেশে পৌঁছন ৩২ বছর বয়সি বেলজিয়াম জাতীয় দলের ফুটবলার। সেখানেই তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। রবিবার জিনান প্রদেশের স্বাস্থ্য দফতর সরকারি ভাবে জানিয়েছে, ফেলাইনির শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। যদিও দক্ষিণ চিনের সংবাদ মাধ্যম (সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট) দাবি করেছে, গত তিন দিনে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে নতুন করে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি। ২০১৯-এ ফেলাইনি যোগ দেন চিনের ক্লাবে। অভিষেকের মরসুমেই ১৩ গোল করে শ্যানডংয়ের সমর্থকদের মন জয় করে নেন তিনি। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরে উদ্বিগ্ন ভক্তদের আশ্বস্ত করে ফেলাইনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘‘পরীক্ষা করে আমার শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। ভক্ত, চিকিৎসাকর্মী ও ক্লাবকে ধন্যবাদ আমার পাশে থাকার জন্য। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনেই চলছি। আশা করছি, দ্রুত মাঠে ফিরতে পারব। সকলকে সাবধানে থাকার অনুরোধ করছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement