ছবি এএফপি।
দিন কয়েক আগেই অল ইংল্যান্ড ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপের সংগঠকদের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন সাইনা নেহওয়াল। ভারতীয় ব্যাডমিন্টন তারকার অভিযোগ ছিল, খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তার উপরে জোর না দিয়ে সংগঠকরা আর্থিক স্বার্থকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। সাইনার অভিযোগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাইওয়ানের এক খেলোয়াড়ের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া খবর ছড়িয়ে পড়ে। যা শোনার পরে স্তম্ভিত সাইনা-সহ বেশ কয়েক জন ভারতীয় ব্যাডমিন্টন তারকা। সবাই এই ঘটনায় রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
যদিও তাইওয়ানের এই খেলোয়াড় অল ইংল্যান্ডে খেলেননি। তিনি তাইওয়ান দলের সঙ্গে ছিলেন প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার জন্য। কিন্তু তাতেও উদ্বেগ কমছে না। ১৫ মার্চ শেষ হয় অল ইংল্যান্ড ব্যাডমিন্টন। শুক্রবার, অর্থাৎ ২০ তারিখ, ডেনমার্কের এক ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় সোশ্যাল মিডিয়ায় তাইওয়ান সংবাদমাধ্যমের একটি খবর তুলে ধরেন। যেখানে ওই সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়ের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর রয়েছে। ডেনমার্কের হানস ক্রিশ্চিয়ান ভিতিংহাস টুইট করেন, ‘‘দেখা যাচ্ছে, বার্সেলোনা মাস্টার্স এবং পরে অল ইংল্যান্ড চলার সময় তাইল্যান্ড দলের সঙ্গে থাকা এক অ্যাথলিট দেশে ফিরে জানতে পেরেছেন, তিনি করোনায় আক্রান্ত...।’’ জানা গিয়েছে, এই ক্রীড়াবিদ টিম বাসেও যাতায়াত করেছেন।
যে খবর রিটুইট করে সাইনা লিখেছেন, ‘‘ভাবতেই পারছি না। সত্যিই স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছি।’’ প্রায় একই রকম আতঙ্কিত অভিব্যক্তি অশ্বিনী পোনাপ্পারও। করোনা- আতঙ্কের কারণে এইচ এস প্রণয়, সমীর বর্মা, চিরাগ শেট্টি-সহ বেশ কয়েক জন ভারতীয় ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় নিজেদের সরিয়ে নিয়েছিলেন অল ইংল্যান্ড থেকে। কিন্তু সাইনা এবং পিভি সিন্ধু খেলেছিলেন। সাইনার কাছে এই প্রতিযোগিতার বিশেষ গুরুত্ব ছিল, কারণ টোকিয়ো অলিম্পিক্সের জন্য নিজের র্যাঙ্কিং উন্নত করা দরকার ছিল তাঁর। কিন্তু প্রথম রাউন্ডেই হেরে বিদায় নিয়েছিলেন ভারতীয় ব্যাডমিন্টন তারকা।
তাইওয়ান প্রচারমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই অ্যাথলিট চারটি ইউরোপীয় শহরে গিয়েছিলেন। জাতীয় দলের সদস্য না হলেও এই পুরুষ ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় ট্রেনিংয়ের সঙ্গী হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় দলের সঙ্গে গিয়েছেন। দেশে ফেরার পরে তাইওয়ানের জাতীয় দল এখন পর্যবেক্ষণের মধ্যে রয়েছে। সেখানকার প্রচারমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ১৬ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি স্পেনে, ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ মার্চ জার্মানিতে, ৮ থেকে ১৫ মার্চ গ্রেট ব্রিটেনে এবং ১৬-১৭ তারিখ ফ্রান্স হয়ে দেশে ফেরেন ওই খেলোয়াড়।