আইপিএল হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা অব্যাহত। এপ্রিলেই সম্ভবত আইপিএলের ভবিষ্যৎ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। যদি আইপিএল না হয়, তা হলে বোর্ড থেকে শুরু করে সম্প্রচারকারী সংস্থা, স্পনসর, ফ্র্যাঞ্চাইজি— সবারই বিপুল আর্থিক ক্ষতি হবে। ক্ষতি হবে ক্রিকেটারদেরও। দেখে নেওয়া যাক ক্রিকেটারদের মধ্যে কার কত ক্ষতি।
বিরাট কোহালির ক্ষতি হবে সবচেয়ে বেশি। আইপিএল না হলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়ক হারাবেন প্রায় ১৭ কোটি টাকা। কোনও ক্রিকেটারকে ধরে রাখার সর্বাধিক মূল্যের চেয়েও কোহালিকে দুই কোটি টাকা বেশি দেয় আরসিবি।
কোহালি এখনও পর্যন্ত আইপিএলে শুধু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়েই খেলেছেন। ২০০৮ সালের প্রথম আইপিএল থেকেই তিনি আরসিবির হয়ে খেলছেন। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত এক বারও আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়নি তাঁর দল। এই মরসুমে ট্রফি জেতার জন্য মরিয়া ছিলেন কোহালিরা।
প্যাট কামিন্স গত ডিসেম্বরে হওয়া নিলামে সাড়ে ১৫কোটি টাকায় এসেছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সে। টাকার অঙ্ক চমকে দিয়েছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের। এখন আইপিএল না হলে তাঁর ক্ষতিও বিশাল হতে চলেছে। অস্ট্রেলিয়ার পেসার অবশ্য আইপিএল হলেও কতটা খেলতে পারতেন, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার সরকার সদ্য দেশের বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে জারি করেছে নিষেধাজ্ঞা। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও শোনা যাচ্ছে কামিন্সকে কোনও অবস্থাতেই ছা়ড়তে চাইছে না। ফলে, ডানহাতি পেসারের আর্থিক ক্ষতি নিশ্চিতই দেখাচ্ছে এই মুহূর্তে।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি হলেন চেন্নাই সুপার কিংসের মুখ। আইপিএল না হলে তাঁর ক্ষতি হবে ১৫ কোটি টাকা। তবে আর্থিক ক্ষতির চেয়েও বড় ক্ষতি হবে ধোনির কেরিয়ারের। তাঁর জাতীয় দলে ফেরার বিষয়টি আইপিএলে পারফরম্যান্সের সঙ্গে জড়িত বলে মনে করা হচ্ছিল।
ধোনি চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে অনুশীলন শুরু করেও দিয়েছিলেন। নেটে মেজাজেও দেখাচ্ছিল তাঁকে। বড় শট নিচ্ছিলেন অবহেলায়। কিন্তু, এখন আইপিএলের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় রাঁচী ফিরে গিয়েছেন তিনি। ফলে, তাঁর কেরিয়ার নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে।
রোহিত শর্মা হলেন আইপিএলের সফলতম ক্যাপ্টেনদের অন্যতম। চার বার তাঁর নেতৃত্বে আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। আইপিএল না হলে হিটম্যানেরও ক্ষতি হবে ১৫ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের নিলামের আগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ধরে রেখেছিল তাঁকে।
রোহিত হলেন টিম ইন্ডিয়ার সহ অধিনায়ক। কিন্তু আইপিএলে তাঁর সাফল্য দেখে ক্রিকেটমহলে অনেকেই ওভারের ক্রিকেটে জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে তাঁকে দেখতে চাইছেন। ২০১১ সাল থেকে মুম্বইয়ের হয়ে আইপিএলে খেলছেন তিনি। ২০১৩ সালে রিকি পন্টিং নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার পর অধিনায়ক হন তিনি।
বেন স্টোকস হলেন এই সময়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। ইংল্যান্ডের এই অলরাউন্ডার পানশালায় মারামারির ঘটনায় কিছুদিন আগেও বিপর্যস্ত ছিলেন। কিন্তু সেই ঘটনা পিছনে ফেলে এসেছেন তিনি। আইপিএলেও রেখেছেন ধারাবাহিকতার পরিচয়।
২০১৮ সালের নিলামে বেন স্টোকসকে সাড়ে ১২ কোটি টাকায় নিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। সেই থেকে রাজস্থানেই রয়েছেন তিনি। তার এক বছর আগে অবশ্য নিলামে স্টোকসের দর উঠেছিল সাড়ে ১৪ কোটি টাকা। তবে এই বছর আইপিএল না হলে ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপ জেতানো ক্রিকেটারের ক্ষতি হবে সাড়ে বারো কোটি টাকা।