ফাইল চিত্র
২৪ মার্চ: ম্যানেজার মিকেল আর্তেতা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরে গোটা আর্সেনাল দলটাই কোয়রান্টিনে চলে যায়। মঙ্গলবারই তাদের অনুশীলনে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু ইংল্যান্ড-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংক্রমণ ভয়ঙ্কর জায়গায় পৌঁছনোয় গানার্স ফুটবলারদের বাড়িতে থাকতে বলা হল।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ। ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডের খবর, বিভিন্ন ক্লাবের ফুটবলারেরা মে-তে লিগ শুরু হলেও খেলতে চান না। আতঙ্কের এমন একটা অবস্থায় দর্শকশূন্য গ্যালারিতেও না। এর পরেও লিগ শুরুর চেষ্টা হলে, তাঁরা বিদ্রোহ করতে পারেন বলে খবর বেরিয়েছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডে।
আর্সেনালের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে কোনও ভাবে ক্লাবে অনুশীলন নতুন করে শুরু করা অনুচিত। তাই ফুটবলারদের টেনে নিয়ে আসার মতো দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ ক্লাব করবে না। আমাদের পুরুষ ও মেয়ে ফুটবলারদের ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। অ্যাকাডেমির শিক্ষার্থীদেরও আমরা মাঠে আসতে আমরা নিষেধ করেছি।’’ ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড আবার জানিয়েছে, লিগে আর খেলা না হলেও তারা তাদের অস্থায়ী কর্মীদের পুরো পারিশ্রমিক দিয়ে যাবে।
বুন্দেশলিগার ফুটবলাররা খেলা বন্ধ থাকায় ক্লাবের আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে দিতে নিজেদের বেতন কমিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে। এই ক্লাবগুলির মধ্যে রয়েছে বায়ার্ন মিউনিখও। ফুটবলারেরা তাঁদের বেতন ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে নিতে রাজি হয়েছেন। ১৩ মার্চ থেকে জার্মানির সেরা লিগ বন্ধ আছে। অন্তত ২ এপ্রিল পর্যন্ত বুন্দেশলিগা স্থগিত থাকছে। পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে, তাতে মে-র মাঝামাঝি সময়ও জার্মানিতে খেলা শুরু হবে কি না বোঝা যাচ্ছে না।