বিতর্কে: বাড়িতে না থেকে বেরিয়ে পড়ায় চর্চায় মেরি কম। ফাইল চিত্র
কোয়রান্টিন ভেঙে রাষ্ট্রপতি ভবনের প্রাতরাশে যোগ দিয়ে সকলের সঙ্গে মেলামেশা করায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়লেন বক্সার মেরি কম। যা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া মিলেছে ক্রীড়াজগতে।
জর্ডনের রাজধানী আম্মানে অলিম্পিক যোগ্যতা অর্জনকারী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন মেরি। গত ১৩ মার্চ দেশে ফেরেন তিনি। কিন্তু বিশ্ব জুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে মেরি ও প্রতিযোগিতা থেকে ফেরা সকলকে ১৪ দিন হোম কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ১৮ মার্চ রাজ্যসভার সাংসদ মেরি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের আমন্ত্রণে আয়োজিত প্রাতরাশে হাজির হন। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে টুইট করা যে ছবিতে অন্য সাংসদদের সঙ্গে মেরিকে দেখাও গিয়েছে।
উল্লেখ্য, সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বলিউডের করোনা আক্রান্ত কনিকা কপূরের সঙ্গে নৈশভোজে যোগ দেওয়া বিজেপি সাংসদ দুষ্মন্ত সিংহও। যিনি এই মুহূর্তে স্বেচ্ছাবন্দি হয়ে রয়েছেন। জানা গিয়েছে, দুষ্মন্তের সংস্পর্শে আসায় স্বয়ং রাষ্ট্রপতিও করোনা নির্ণায়ক পরীক্ষা করাতে পারেন। সেখানে ‘হোম কোয়রান্টিন’-এ থাকা সত্ত্বেও কেন মেরি সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলেন তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
ভারতের বক্সিং কোচ সান্তিয়াগো নিয়েভা শুক্রবারেই জানিয়েছিলেন, আম্মান থেকে টোকিয়ো অলিম্পিক্সের বক্সিং যোগ্যতামান পর্বে যোগ দিয়ে যাঁরা ভারতে এসেছিলেন, তাঁদের সকলকে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়রান্টিনে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তাঁর কথায়, ‘‘প্রথমে আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম সকলকে ১০ দিন কোয়রান্টিনে রাখার জন্য। পরে তা বাড়িয়ে করা হয়, ১৪ দিন। সে কারণে ১০ দিন পরে মহড়া শুরু করার অনুশীলন-তালিকাও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ১৪ দিন পরেও যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়, তা হলে এই সময়সীমা বাড়তেই পারে।’’
মেরি কম যদিও রাষ্ট্রপতির এই প্রাতরাশ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা এক বিবৃতির মাধ্যমে স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘জর্ডন থেকে ভারতে আসার পরে ঘরেই বন্দি ছিলাম। আমি রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে ওই প্রাতরাশে যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু আমি দুষ্মন্ত সিংহের সঙ্গে করমর্দন করিনি।’’
করোনাভাইরাস সংক্রমণে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। মারণ এই ভাইরাসের সংক্রমণে বিশ্বজুড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ।