Coronavirus

আইপিএল জট, মহারাষ্ট্রের পরে প্রশ্ন কর্নাটকের

কর্নাটকের একটি স্থানীয় টিভি চ্যানেল জানিয়েছে, এই নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি চিঠি লিখেছে রাজ্য সরকার। 

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২০ ০৫:১৮
Share:

ডেভিড ওয়ার্নার। —ফাইল চিত্র

করোনাভাইরাস আতঙ্ক কি এ বার আইপিএলেও থাবা বসাতে শুরু করল? আগের দিন মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে এই নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল। এ বার কর্নাটক সরকারও আইপিএল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বলে খবর। কর্নাটকের একটি স্থানীয় টিভি চ্যানেল জানিয়েছে, এই নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি চিঠি লিখেছে রাজ্য সরকার।

Advertisement

চ্যানেলের খবর অনুযায়ী, কর্নাটক সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে পাঠানো চিঠিতে আইপিএল পিছনো বা বাতিল করার আর্জি জানানো হয়েছে। বিরাট কোহালির ঘরের মাঠ বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম। এখন কর্নাটক সরকার এই আর্জি জানানোয় কোহালিদের ঘরের মাঠের ম্যাচ হওয়া নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিল। আইপিএল যদি পিছিয়ে না যায় বা বাতিল না হয়, তা হলে কি কর্নাটক সরকার বেঙ্গালুরুতে এই ম্যাচ করার অনুমতি দেবে? এই প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গোটা বিশ্বের খেলাধুলোতেই প্রভাব ফেলেছে করোনাভাইরাস। মারণ ভাইরাস করোনার সংক্রমণের প্রকোপ এতটাই যে, নির্দেশ জারি করে সেরি আ-সহ ইটালির সব রকমের খেলা সাময়িক বন্ধ রাখল সে দেশের সরকার। ইটালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে এ দিন এক নির্দেশে জানিয়েছেন, দেশ জুড়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রকোপের জন্য সেরি-আ ও বাকি সব খেলা ৩ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

Advertisement

এই নির্দেশ জারির আগে সেরি আ-তে সোমবার খেলা ছিল সসুওলো বনাম ব্রেইসিয়ার মধ্যে। দর্শকহীন স্টেডিয়ামে যে ম্যাচ ৩-০ জেতে সসুওলো। জয়ী দলের হয়ে প্রথম গোল করার পরে তাদের স্ট্রাইকার ফ্রান্সেসকো কাপুতো টিভি ক্যামেরার সামনে গিয়ে হাতে লেখা একটি পোস্টার মেলে ধরেন। যেখানে দর্শকদের উদ্দেশ্যে লেখা ছিল, ‘‘সব ঠিক হয়ে যাবে। ঘরে থাকুন।’’

এর কয়েক ঘণ্টা পরেই টেলিভিশনে ইটালীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে সেই নির্দেশ জারি করে একই কথা বলেন। ইতিমধ্যেই ইটালিতে এই মারণ ভাইরাসের প্রকোপে প্রাণ হারিয়েছেন ৯৭ জন। সংক্রমিতের সংখ্যা ৪৬৩। কেবল খেলার মাঠই নয়, বিধিনিষেধ জারি হয়েছে জমায়েত এবং পর্যটনেও। বন্ধ করা হয়েছে স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়ও।

এ প্রসঙ্গে কন্তের প্রতিক্রিয়া, ‘‘করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে ইটালি জুড়ে যে পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে, তাতে কোনও প্রতিযোগিতা বা ফুটবল ম্যাচ হওয়ার যুক্তি থাকতে পারে না। হয়তো ক্রীড়াপ্রেমীরা মনঃক্ষুণ্ণ হতে পারেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এ ছাড়া কিছু করার ছিল না। মারণ ভাইরাসের সংক্রমণে যা পরিস্থিতি, তাতে জিমগুলোকেও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।’’

তবে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বা ইউরোপা লিগ দর্শকহীন স্টেডিয়ামে খেলা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে আগামী সপ্তাহেই লিয়ঁ-র বিরুদ্ধে তুরিনে খেলতে নামবে জুভেন্টাস। বৃহস্পতিবার ইউরোপা লিগে স্পেনের ক্লাব খেতাফের বিরুদ্ধে খেলবে ইন্টার মিলান। আর রোমা ঘরের মাঠে খেলবে স্পেনের ক্লাব সেভিয়ার বিরুদ্ধে। এই সব ম্যাচই দর্শকহীন স্টেডিয়ামে হওয়ার কথা।

ইটালীয় প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার আগেই সোমবার সকালে সে দেশের জাতীয় অলিম্পিক কমিটি সুপারিশ করে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত সব রকমের খেলা বাতিল

করা হোক। ইটালির ক্রীড়ামন্ত্রী ভিনসেঞ্জো স্পাদাফোরাও জানিয়েছেন, নিচের বিভাগের লিগ ম্যাচগুলো বাতিল করা হয়েছে। সেরি আ-র খেলাও বন্ধ রাখতে হচ্ছে সংক্রমণ প্রতিরোধে। ইটালির ফুটবলারদের সংস্থার প্রেসিডেন্ট দামিয়ানো তোম্মাসিও এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। তিনি টুইট করেন, ‘‘এই মুহূর্তে ফুটবল বন্ধ করা ইটালির পক্ষে সদর্থক পদক্ষেপ।’’

ফুটবলের পাশাপাশি, ইটালির সাঁতার, ভলিবল, শীতকালীন ক্রীড়া, রাগবি-সহ সব ক্রীড়াসংস্থা ৩ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিযোগিতা বন্ধ রেখেছে। সেরি আ-তে খেলা হয় ৩৮ রাউন্ড। সেখানে এই মুহূর্তে ২৬ রাউন্ড পর্যন্ত খেলা হয়েছে। তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে জুভেন্টাস। শুধু সেরি আ-তেই নয়, করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে স্পেনের লা লিগাতেও। মঙ্গলবার লা লিগার তরফে সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে, অন্তত দু’সপ্তাহ দর্শকশূন্য

স্টেডিয়ামে হবে প্রথম ও দ্বিতীয় ডিভিশনের ফুটবল ম্যাচ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement