চর্চায়: ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, বলছেন নোভাক। ফাইল চিত্র
করোনা প্রতিষেধক নেওয়া টেনিস খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক হবে না। এমনটাই মনে করছেন বিশ্বের এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড় সার্বিয়ার
নোভাক জোকোভিচ।
বেলগ্রেডে এটিপি প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে পৌঁছনোর পরে সাংবাদিকদের জোকোভিচ বলেন, ‘‘আমি মানুষের ব্যক্তিগত নির্বাচনের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।’’ উল্লেখ্য, এক বছর আগে সার্বিয়ার রাজধানীতে এক প্রদর্শনী টেনিস প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলেন জোকোভিচ। যেখানে তিনি-সহ অংশগ্রহণকারী একাধিক খেলোয়াড় করোনা সংক্রমিত হয়েছিলেন। যা নিয়ে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল।
এ বার সার্বিয়া ওপেন টেনিসে অংশ নিতে গেলে খেলোয়াড়দের প্রতিষেধক নিতে হবে কি না, সে প্রসঙ্গে ৩৩ বছর বয়সি এই টেনিস খেলোয়াড় বলছেন, ‘‘এটা আমার সিদ্ধান্ত। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি প্রতিষেধকের পক্ষে বা বিরোধী, কোনওটাই নই। আশা করি, প্রতিষেধক নেওয়া বাধ্যতামূলক
হবে না।’’
বেলগ্রেড ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে জোকোভিচ ৬-১,৬-৩ ফলে হারিয়েছেন মায়োমির কেসমানোভিচকে। সেমিফাইনালে তাঁর প্রতিপক্ষ রুশ খেলোয়াড় আসলান কারাতসেভ। যাঁকে তিনি গত ফেব্রুয়ারিতেই অস্ট্রেলীয় ওপেনের কোয়ার্টর ফাইনালে হারিয়েছিলেন। তৃতীয় বাছাই এই রুশ খেলোয়াড় কোয়ার্টার ফাইনালে ৬-৩,৬-৪ ফলে হারিয়েছিলেন ইটালির
জানলুকা মাগেরকে।
কোয়ার্টার ফাইনালে জয়ের পরে জোকোভিচের প্রতিক্রিয়া, ‘‘কোর্টের মধ্যে সার্ভ করতে, বল ফেরাতে বা স্থান পরিবর্তন করতে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না। ঘরের মাঠে খেলা দারুণ উপভোগ করছি। সেমিফাইনালে জয় ছিনিয়ে আনতে আবার নিজের সেরা ছন্দে খেলতে হবে।’’
গত ফেব্রুয়ারি মাসেই অস্ট্রেলীয় ওপেন জেতেন জোকোভিচ। সেটি ছিল তাঁর ১৮তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়। ক্লে কোর্টে মোনাকোয় গত সপ্তাহে প্রথম খেলতে নেমে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে তিনি অপ্রত্যাশিত ভাবে হারেন ব্রিটেনের ড্যান ইভান্সের কাছে।
বেলগ্রেডে সেমিফাইনালে গিয়েছেন বিশ্বের ১২৬ নম্বর খেলোয়াড় জাপানের তারো ড্যানিয়েল। তিনি কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়েছেন আর্জেন্টিনার ফেদেরিকো দেলবোনিসকে। ম্যাচের ফল
৪-৬, ৬-১, ৭-৫।