মেসি বনাম নেমার দেখার জন্য মুখিয়ে ফুটবল বিশ্ব।
দু’ বছর আগে কোপার সেমিফাইনালে হেরে গিয়েছিলেন লিয়োনেল মেসিরা। সেই ম্যাচের বদলা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে এ বার। মঞ্চ আরও বড়। তবে এমনটা ভাবতে নারাজ আর্জেন্টিনার প্রশিক্ষক লিয়োনেল স্কালোনি। তিনি বদলা নেওয়ায় বিশ্বাসী নন।
অন্য দিকে ১৯৯৩ সালে কোপা জয়ের পর থেকে আর কোনও আন্তর্জাতিক ট্রফি ঘরে তুলতে পারেনি আর্জেন্টিনা। সেই ইতিহাস দেখে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে রাজি নন ব্রাজিল প্রশিক্ষক তিতে। অতীতের দিকে তাকিয়ে যে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, তা ভালই জানেন তিনি।
কোপার ফাইনালে নামার আগে স্কালোনি বলেন, “বদলা নেওয়ায় আমি বিশ্বাস করি না। আমি বিশ্বাস রাখি আমাদের কাজের ওপর। যে লক্ষ্য নিয়ে আমরা এখানে এসেছি সেটা নিয়ে ভাবতে চাই। শনিবার (ভারতীয় সময় খেলা রবিবার) শেষ দিন। আমাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে খেলা। আশা করি ভাল খেলা হবে, দর্শকরা সেই খেলা উপভোগ করবেন। গোটা বিশ্ব তাকিয়ে থাকবে এই ম্যাচের দিকে।”
দেশের জার্সিতে কোনও ট্রফি নেই মেসির। এই দুর্নাম ঘুচতে পারে কোপার ফাইনালে। স্কালোনি বলেন, “মেসি সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের মধ্যে অন্যতম। একটা ম্যাচে জয় বা হার দিয়ে ওর তুলনা করা যাবে না। এই ম্যাচের হার জিতের ওপর মেসির কৃতিত্ব নির্ভর করবে না। ছেলেরা জানে ফাইনালের গুরুত্ব। সেটা বার বার ওদের বলার প্রয়োজন নেই। আমরা জিততে চাই। দেশের মানুষকে আনন্দ দিতে চাই।”
তিতে জানেন ২৮ বছর ধরে ট্রফির খরা চলছে আর্জেন্টিনার। তবে তা মাথায় রাখছেন না তিনি। তিনি বলেন, “ওটা অতীত। সামনে এগিয়ে যেতে হলে পিছনের দিকে তাকাতে নেই। শেষ দুটো কোপায় আমরা অপরাজিত। কিন্তু সেটাও অতীত। এগুলোর কোনও মূল্য নেই।”
ব্রাজিলকে নিয়ে আশায় বুক বাঁধছেন সমর্থকরা। দেশের প্রেসিডেন্ট ৫-০ গোলে জয়ের কথাও বলেছেন। তবে তিতে বলেন, “মানসিক চাপ আমাদের ওপরও থাকে। আমাদের কাছে খেলাটা সমর্থক বা সাংবাদিকদের থেকে সব দিক দিয়েই আলাদা। আমরা আমাদের লক্ষ্যে অবিচল থাকার চেষ্টা করছি। কখনও ইতিহাস আসবে, কখনও বিদ্রুপ আসবে, কখনও প্রলোভন আসবে, কখনও ফুটবলারদের ক্লাবের খেলার কথা আসবে। আমাদের সে সব পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন পরিশ্রম এবং ফাইনালে ভাল খেলা।”
কার্ডের কারণে ফাইনালে ব্রাজিল দলে নেই গ্যাব্রিয়াল জেসুস, চোটের জন্য অনিশ্চিত অ্যালেক্স সান্দ্রো। আর্জেন্টিনা দলেও চোটের জন্য অনিশ্চিত ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো।