রবিবার কোপা আমেরিকার টুইটারে দেখা গেল এই ছবি। ছবি: টুইটার থেকে
কোপা আমেরিকা শুরু হয়েছিল দিয়েগো মারাদোনাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে। আলোর খেলায় আর্জেন্টিনার মহাতারকাকে যেন আক্ষরিক অর্থেই মাঠে নামিয়ে আনা হয়েছিল। বিশ্বের কোটি কোটি ফুটবলপ্রেমীর মতো সেই দৃশ্য মুগ্ধ করেছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেও। তিনি যে মারাদোনার ভক্ত, তা অজানা নয়। কোপার শুরুতে সেই দৃশ্য দেখে আবেগে ভেসেছিলেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক।
মারাদোনাও যেন আলোকবর্ষ দূর থেকে সাক্ষী থেকেছিলেন সেই ভালবাসার। তিনিও যেন চেয়েছিলেন এ বারের কোপা আসুক তাঁর দেশেই। রবিবার সকালে লিয়োনেল মেসি হাতে ট্রফিটা নিয়ে এক বার আকাশের দিকে তাকালেন। যেন মারাদোনার উদ্দেশে বললেন, ‘পেরেছি।’ হ্যাঁ পেরেছেন তিনি। পেরেছে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ-সহ বহু সাফল্যের অধিকারী মারাদোনা কখনও কোপা আমেরিকা জিততে পারেননি। বিশ্ব জয় করলেও লাতিন আমেরিকা আর জয় করা হয়ে ওঠেনি। সেই ট্রফি ছুঁলেন তাঁর বরপুত্র লিওনেল মেসি।
মারাদোনার মৃত্যুর পর ৪ জুন প্রথম মাঠে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনের সেই ম্যাচে মেসিদের জার্সিতে ছিল মারাদোনার ছবি। ঠিক বুকের মাঝখানে মারাদোনা, নীচে লেখা ‘১৯৬০ থেকে চির দিন।’
সত্যিই চির দিন থাকবেন মারাদোনা। রবিবার কোপা আমেরিকার টুইটারে একটা ছবি দেখা গেল। ট্রফি হাতে মেসি আর যেন ওপর থেকে তাঁর জন্য গলা ফাটাচ্ছেন মারাদোনা। টুইটে লেখা, ‘সব সময় তোমায় উৎসাহ দিয়ে যাব।’
এমনই তো ছিলেন মারাদোনা। খেলা ছাড়ার পরেও দেশের জন্য গলা ফাটিয়েছেন। সব সময় উৎসাহ দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। মেসিদের ম্যাচে গ্যালারিতে থাকতেন তিনি। আজও হয়তো আছেন।
গত বছর ২৫ নভেম্বর মারাদোনার মৃত্যু হয়। শোকাচ্ছান্ন হয় ফুটবল বিশ্ব। অর্জুন মেসিও যেন হারিয়ে ফেলেন দ্রোণাচার্যকে। সত্যিই কি তিনি নেই? কোপার টুইট মনে করিয়ে দেয় কবিগুরুর সেই গানকে, ‘কে বলে গো সেই প্রভাতে নেই আমি...।’