ভারতের টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা। গত মাসে আন্তর্জাতিক টেনিস থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি। —ফাইল চিত্র
অর্থলগ্নি সংস্থার দুর্নীতিতে এ বার নাম জড়াল ভারতের টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সেই সংস্থার বিজ্ঞাপনের মুখ ছিলেন। সংস্থার অনেক অনুষ্ঠানেও মধ্যমণি ছিলেন সানিয়া। তাঁকে দেখে প্রচুর মানুষ সেখানে টাকা রেখেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাই সানিয়ার বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। এই খবর জানিয়েছে সংবাদপত্র ‘ন্যাশনাল হেরাল্ড’।
অর্থলগ্নি সংস্থার নাম ‘কিউনেট’। তেলঙ্গানায় অনেক দিন ধরে কারবার চালাচ্ছে তারা। দেশ থেকে তারা মালয়েশিয়ায় টাকা পাচার করেছে বলে অভিযোগ। তাতে অনেক মানুষের লোকসান হয়েছে। তাঁদের হয়ে লড়াই করছে ‘ফিনান্সিয়াল ফ্রডস ভিকটিমস ওয়েলফেয়ার লিমিটেড’ নামের একটি এনজিও। এই বিষয়ে ৪ এপ্রিল তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কাছে পিটিশন দায়ের করেছে তারা। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছে তারা।
সংস্থার এক আধিকারিক গুরুপ্রীত সিংহ আনন্দ বলেছেন, ‘‘সানিয়া ক্রীড়াজগতে একটা বড় নাম। তাই তিনি যখন ওই অর্থলগ্নি সংস্থার হয়ে প্রচার করেছেন, তখন অনেক বেশি মানুষ সেখানে টাকা রেখেছে। ওই সংস্থার প্রধান শাখা মালয়েশিয়ায়। সেখানে প্রচুর টাকা পাচার করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইডি।’’
গুরুপ্রীতের অভিযোগ, ওই অর্থলগ্নি সংস্থা থেকে সুবিধা নিয়েছেন সানিয়া। তাই তাঁর বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া উচিত। তিনি বলেছেন, ‘‘সানিয়া ওই সংস্থার প্রচার করতে বিদেশে গিয়েছেন। অনেক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। যাতায়াত, হোটেল ভাড়া, প্রচারের জন্য টাকা নিয়েছেন সানিয়া। তা হলে তাঁর বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া উচিত। আমরা ইডির কাছে সেই অনুরোধ করেছি।’’
এখনও পর্যন্ত ‘কিউনেট’-এর বিরুদ্ধে ৩০টি মামলা দায়ের হয়েছে হায়দরাবাদে। তার মধ্যে কিছু মামলার দায়িত্ব নিয়েছে ইডি। তবে সেটা এখনও প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। এই বিষয়ে সানিয়া এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি। আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে চেষ্টা করা হলেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।