প্রতীকী ছবি।
আবার ধাক্কা কমনওয়েলথ গেমসের ভারতীয় অ্যাথলেটিক্স দলে। ধনলক্ষ্মী সেকারের পর ভারতের মহিলাদের ৪x১০০ মিটার রিলে দলের আরও এক সদস্য ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হলেন। ছয় জনের রিলে দলের দু’জনই নামতে পারবেন না বার্মিংহ্যামের ট্র্যাকে। কেউ চোট পেলে এই ইভেন্টে ভারতের অংশগ্রহণই অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি বা নাডার ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন আরও এক স্প্রিন্টার। অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার (এএফআই) এক কর্তা জানিয়েছেন, ‘‘নাডার ডোপ পরীক্ষায় আরও এক মহিলা স্প্রিন্টার ব্যর্থ হয়েছে। আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’’ এএফআই সূত্রে জানানো হয়েছে, মহিলা স্প্রিন্টারের দ্বিতীয় নমুনার ফল এখনও সরকারি ভাবে তাঁরা হাতে পাননি বলে নাম প্রকাশ করা হয়নি। টোকিয়ো অলিম্পিক্সের পর থেকে এই নিয়ে ভারতের নয় জন অ্যাথলিট ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হলেন।
কমনওয়েলথ গেমস শুরুর মাত্র কয়েক দিন আগে ছয় জনের দলের দু’জন ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় চিন্তিত অ্যাথলেটিক্স কর্তারা। তাঁদের স্বস্তি, দলে কারও চোট নেই। ১০০ মিটার হার্ডলার জ্যোতি ইয়ারজি এবং লং জাম্পার অ্যান্সি সোজানকে রিলে দলের স্ট্যান্ড বাই সদস্য হিসাবে যুক্ত করা হচ্ছে। কারণ, এখন আর নতুন কাউকে কমনওয়েলথ গেমসের দলে অন্তর্ভূক্ত করা সম্ভব নয়। ছয় জনের দলের বাকি চার জনের কেউ অসুস্থ হলে বা চোট পেলে পরিস্থিতি সামলাতে ট্র্যাকে নামাতে হবে জ্যোতি বা অ্যান্সিকে। ধনলক্ষ্মীর সঙ্গে ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হন ট্রিপল জাম্পার ঐশ্বর্যা বাবু।
২০১১ সালের পর কখনও এক সঙ্গে ভারতের এত জন অ্যাথলিট ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হননি। সে বার মাঝারি দূরত্বের ছয় জন দৌড়বিদ এক সঙ্গে ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছিলেন। উল্লেখ্য, ডোপ পরীক্ষায় ক্রীড়াবিদদের ব্যর্থ হওয়ার নিরিখে ২০২১ সালে বিশ্বে তৃতীয় স্থানে ছিল ভারত। ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি বা ওয়াডার হিসাব অনুযায়ী বিভিন্ন খেলা মিলিয়ে ২০২১ সালে ভারতের মোট ১৫২ জন ক্রীড়াবিদ ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হন। ভারতের আগে ছিল রাশিয়া (১৬৭) এবং ইটালি (১৫৭)।