রুপোজয়ী ভারতীয় ব্যাডমিন্টন দল। ছবি: পিটিআই
কমনওয়েলথ গেমসে ব্যাডমিন্টনের মিক্সড দলগত বিভাগে রুপো নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল ভারতীয় দলকে। ফাইনালে মালয়েশিয়ার কাছে ১-৩ ব্যবধানে হেরে গেলেন পিভি সিন্ধু, কিদম্বি শ্রীকান্তরা।
২০১৮ সালে গোল্ড কোস্ট কমনওয়েলথ গেমসে মালয়েশিয়াকে হারিয়েই ব্যাডমিন্টনের মিক্সড দলগত বিভাগে সোনা জিতেছিল ভারত। বার্মিংহ্যামে সেই মালয়েশিয়ার কাছেই ফাইনালে হেরে সোনা হাতছাড়া করলেন সিন্ধুরা। একমাত্র সিন্ধু ছাড়া ফাইনালে আর কোনও ভারতীয়কেই চেনা ছন্দে দেখা গেল না।
প্রথমে পুরুষদের ডাবলসে হারেন ভারতের চিরাগ শেট্টি ও সাত্ত্বিকসাইরাজ রানকিরেড্ডি জুটি। মালয়েশিয়ার তেং ফং-উই ইক জুটির কাছে ১৮-২১, ১৫-২১ ব্যবধানে হেরে যান। এর পর প্রথম সিঙ্গলসে লড়াই করে ভারতকে সমতায় ফেরান সিন্ধু। বিশ্ব ক্রমতালিকায় ৬০ নম্বরে থাকা গো জিন উইয়ের বিরুদ্ধে সিন্ধু সহজ জয় পাবেন বলে আশা করা হয়েছিল। শুরুটা ভালই করেছিলেন। প্রথম গেমে এক সময় ১১-৬ ব্যবধানে এগিয়েও যান সিন্ধু। মালয়েশিয়ার খেলোয়াড়ও কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। শেষ পর্যন্ত ২২-২০, ২১-১৭ ব্যবধানে জয় পান অলিম্পিক্সে জোড়া পদকজয়ী।
সিন্ধু সমতা ফেরালেও দ্বিতীয় সিঙ্গলসে হতাশ করলেন শ্রীকান্ত। বিশ্ব ক্রমতালিকায় অনেক পিছনে ৪২ নম্বরে থাকা জি ইয়ং এনজি-র কাছে হেরে যান শ্রীকান্ত। তিন গেমের লড়াইয়ে বিশ্বের ১৪ নম্বর ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় হারেন ১৯-২১, ২১-৬, ১৬-২১ ব্যবধানে। এক মাত্র দ্বিতীয় গেমেই শ্রীকান্তকে চেনা ছন্দে দেখা গিয়েছে। মালয়েশিয়ার এই ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়ের কাছে চার বারের সাক্ষাতে এই প্রথম হারলেন শ্রীকান্ত।
১-২ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পর লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে মহিলাদের ডাবলস জিততেই হত ভারতকে। সেই ম্যাচে তৃষা জলি-গায়ত্রী গোপীচন্দ জুটি ১৮-২১, ১৭-২১ ফলে হারেন বিশ্বের ১১ নম্বর জুটি মালয়েশিয়ার থিনা মুরলিথরণ-ত্যান কুঙ্গ লি পারলি জুটির কাছে। ভারত ১-৩ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পর পঞ্চম ম্যাচ তথা মিক্সড ডাবসল খেলার দরকার হয়নি।