গ্রামে ফিরেছেন অচিন্ত্য শিউলি। —নিজস্ব চিত্র
দেউলপুরের অচিন্ত্য শিউলি এখন ভারতের ‘সোনার ছেলে’। কমনওয়েলথ গেমস থেকে সোনার পদক নিয়ে ঘরে ফিরেছেন বাংলার এই ভারোত্তোলক। সোমবার রাতে বাড়ি ফিরতেই দেখা গিয়েছিল তাঁর গ্রামে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। মঙ্গলবার অচিন্ত্য তাঁর কোচ অষ্টম দাসের জন্য চাকরি চাইলেন।
সোমবার বাড়ি ফিরে মায়ের হাতে কড়াইশুঁটির কচুরি এবং চানা-মশালা খেয়েছেন অচিন্ত্য। আনন্দে ভাসছেন তিনি। তার মাঝেই অচিন্ত্য বললেন, “এতটা সাফল্য পাব ভাবিনি। মনের জোর বেড়ে গেল। পরের লক্ষ্য অবশ্যই ফ্রান্স অলিম্পিক্স।” ছোটবেলা থেকে অচিন্ত্য এবং তাঁর দাদার ভারোত্তোলক শিক্ষক অষ্টম দাস। সেই কোচের জন্য চাকরির আবেদন করলেন অচিন্ত্য। তিনি বললেন, “আমার কোচ যদি একটু সাহায্য পান তা হলে আরও অনেক খেলোয়াড় তৈরি করতে পারবেন।”
কোচ অষ্টমের গলায় আক্ষেপের সুর। তিনি বললেন, “বহু প্রতিশ্রুতিমান ভারোত্তোলক রয়েছে। আমার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উন্নতির জন্য কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি।” কোনও সাহায্য না পেলেও তিনি থামবেন না বলেই জানিয়েছেন অষ্টম। তিনি বললেন, “আমার পাশে কেউ না থাকলেও আগামী দিনেও খেলোয়াড় তৈরি করে যাব।”
অচিন্ত্যর মা পূর্ণিমা শিউলি বললেন, “অনেক কষ্ট করে ছেলেকে মানুষ করেছি। ভাল করে খেতে দিতে পারিনি। সেই সময় কেউ সাহায্য করেনি। ছেলে সাফল্য পাওয়ায় খুব খুশি।” ছেলের সোনা জয়ের পর সেই সব পুরনো দিনের কথা ভুলে যেতে চান অচিন্ত্যর মা।
মঙ্গলবার অচিন্ত্যর বাড়ি যান সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়, হাওড়া সদরের তৃণমূল সভাপতি কল্যাণ ঘোষ ও পাঁচলার বিধায়ক গুলশান মল্লিক। তাঁরা সম্বর্ধনা জানান অচিন্ত্যকে। কল্যাণ বললেন, “কোচ অষ্টম দাসের হাত ধরে শুধু অচিন্ত্য নয়, তৈরি হয়েছে একাধিক ভারোত্তোলক। তাঁর কৃতিত্ব অনবদ্য। অষ্টমের জন্য পঞ্চায়েতের মাধ্যমে জমি দেখে নতুন কেন্দ্র গড়তে সাহায্য করার চেষ্টা করব আমরা।”