প্রথমবার ফাইনালে উঠে কেমন লাগছে? ম্যাচের পরে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ২০ বছরের তারকা বলেছেন, “স্বীকার করতে লজ্জা নেই, বেশ ঘাবড়েই গিয়েছিলাম। তবে পরিস্থিতি বুঝে নিয়ে ঠিক করেছিলাম, একটা করে পয়েন্ট অর্জন করার উপরে জোর দিতে হবে।” যোগ করেছেন, “অল ইংল্যান্ড ব্যাডমিন্টনের সেমিফাইনালে খেলছি, ফলে নানা চিন্তা মাথায় এসে ভিড় করছিল। কিন্তু আমি নিজের লক্ষ্যে ছিলাম স্থির।”
হার-না-মানা: সেরা চমক। অল ইংল্যান্ডের ফাইনালে লক্ষ্য সেন। টুইটার
১৯৮০-তে চ্যাম্পিয়নের হাসি প্রকাশ পাড়ুকোনের মুখে। ২০০১ সালে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি পুল্লেলা গোপাচন্দের হাত ধরে। ২০১৫ সালে মেয়েদের ফাইনালে পৌঁছেও খেতাবের স্বপ্ন অপূর্ণ সাইনা নেহওয়ালের। ২০২২-এ পৌঁছে ফের সোনালি স্বপ্ন উস্কে দিলেন ভারতের নতুন তারা লক্ষ্য সেন।
শনিবার ছেলেদের সিঙ্গলস সেমিফাইনালে তিনি উড়িয়ে দিলেন গতবারের চ্যাম্পিয়ন, মালয়েশিয়ার লি জ়ি জিয়াকে। এক ঘণ্টা ১৬ মিনিটের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে লক্ষ্যের পক্ষে ম্যাচের ফল ২১-১৩, ১২-২১, ২১-১৯। প্রকাশ পাডুকোন অ্যাকাডেমির ছাত্র তিনি। স্যরের কীর্তিকে স্পর্শ করার সোনালি সুযোগ তাঁর সামনে। শিষ্য বলছেন, “আমিও যে কিছু করতে পারি, সেই মন্ত্র তো তাঁর থেকে পেয়েছি। সেটা মাথায় রেখেই খেতাবি লড়াইয়ে নামব।”
প্রথমবার ফাইনালে উঠে কেমন লাগছে? ম্যাচের পরে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ২০ বছরের তারকা বলেছেন, “স্বীকার করতে লজ্জা নেই, বেশ ঘাবড়েই গিয়েছিলাম। তবে পরিস্থিতি বুঝে নিয়ে ঠিক করেছিলাম, একটা করে পয়েন্ট অর্জন করার উপরে জোর দিতে হবে।” যোগ করেছেন, “অল ইংল্যান্ড ব্যাডমিন্টনের সেমিফাইনালে খেলছি, ফলে নানা চিন্তা মাথায় এসে ভিড় করছিল। কিন্তু আমি নিজের লক্ষ্যে ছিলাম স্থির।”
প্রথম গেম সহজেই বার করে নেওয়ার পরে কি মনে হয়েছিল? লক্ষ্য বলেছেন, “প্রথম গেমে নেটের কাছে আমি সাবলীল ছিলাম। ফলে প্রতিপক্ষ খুব বেশি নড়াচড়া করার সুযোগ পায়নি।” কিন্তু দ্বিতীয় গেমে লি-র পাল্টা আক্রমণের মুখে ভারতীয় তারকা চাপে পড়েন। লক্ষ্য বলেছেন, “দ্বিতীয় গেমের শুরুতেই এমন কতগুলো ভুল করে ফেলি যে, ম্যাচে ফিরে আসা কঠিন হয়ে যায়।” তবে নাটকীয় তৃতীয় গেম জিতে দারুণ তৃপ্ত। বলে ফেলেছেন, “তৃতীয় গেমে শুরু থেকে সতর্ক ছিলাম। নেটের কাছে লি-কে টেনে এনে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করি।”