অবসর: মেয়ের সঙ্গে ছুিটর মেজাজে রয়েছেন পুজারা। টুইটার
দীর্ঘ সময় ক্রিজে পড়ে থেকে বোলারদের বিরুদ্ধে লড়াই করাটা চেতেশ্বর পুজারার মন্ত্র। এ বার সেই পুজারা চান, লকডাউনে দীর্ঘ সময় গৃহবন্দি থেকে যেন সবাই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যান।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে পুজারা বলেছেন, ‘‘লকডাউনের সময় সরকার থেকে যা নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তা বেশির ভাগ মানুষই মেনে চলছি। কিন্তু এখনও এমন অনেকে আছেন, যাঁরা এই ভাইরাস সংক্রমণের গুরুত্ব বুঝছেন না। বুঝতে চাইছেন না, এঁরাও ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন।’’
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর টেলি-বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন পুজারাও। যা নিয়ে তিনি বলছেন, ‘‘এক জন ক্রীড়াবিদের মধ্যে যে লড়াকু মানসিকতা থাকে, তা দেশবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এটা তো ঠিক যে, এক জন ক্রীড়াবিদ সব সময় লড়াই করতে প্রেরণা জোগায়।’’
এর পরে দেশবাসীর উদ্দেশে পুজারা বলেছেন, ‘‘এই মুহূর্তে সবাই এক এক জন সৈনিক। আপনারা যদি ঘরে থাকেন, তা হলেই বুঝবেন, করোনার বিরুদ্ধে আপনারাও লড়াইয়ে নেমে পড়েছেন। আমাদের সবাইকে একসঙ্গে লড়তে হবে। না হলে আমরা জিততে পারব না।’’
বাংলার বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফি ফাইনালে সৌরাষ্ট্রকে চ্যাম্পিয়ন করার পরে পুজারার কোনও ধারণা ছিল না এই ভাবে ঘরবন্দি হয়ে থাকতে হবে। কী ভাবে সময় কাটাচ্ছেন তিনি? জানা যাচ্ছে, পুজারা বেশির ভাগ সময়টা কাটাচ্ছেন তাঁর দু’বছরের মেয়ের সঙ্গে। ঘরবন্দি অবস্থাতেও ব্যাট হাতে তুলে নিয়েছেন। তবে সেটা প্লাস্টিকের ব্যাট। ভারতীয় ব্যাটিংয়ের অন্যতম স্তম্ভ বলেছেন, ‘‘এটা শুধুই আমার মেয়ের আবদার মেটানোর জন্য। এখন এর বাইরে আর কিছু করা যাচ্ছে না।’’
তবে এর মানে এই নয় যে, পুজারা ফিটনেসে নজর দিচ্ছেন না। বাড়িতে জিম থাকার কারণে নিজেকে তৈরি রাখতে সমস্যা হচ্ছে না। পুজারার কথায়, ‘‘আমি সব কিছু ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখতে চাই। ক্রীড়াবিদদের মাঝে মাঝে বিশ্রাম নেওয়াটা জরুরি হয়ে পড়ে। আমার ভাগ্য ভাল, বাড়িতে একটা জিম আছে। এখানে বাইরে গিয়ে জিম করা সম্ভব হত না। তাই বাড়িতেই আগে থাকতে ব্যবস্থা করা ছিল। তা ছাড়া যোগ ব্যায়াম করি, যা আমাকে সাহায্য করে।’’