R Praggnanandhaa

সিংহাসনচ্যুত আনন্দ, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে ভারতের এক নম্বর প্রজ্ঞানন্দ

আবার শিরোনামে দাবাড়ু রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ডিং লিরেনকে হারিয়ে দিলেন তিনি। পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বিশ্বনাথন আনন্দকে টপকে এখন তিনি ভারতের এক নম্বর দাবাড়ু।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:১৪
Share:

রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ। ছবি: এক্স।

আবার শিরোনামে দাবাড়ু রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ। মঙ্গলবার রাতে নেদারল্যান্ডসের উইক আন জি-তে টাটা স্টিল মাস্টার্সে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ডিং লিরেনকে হারিয়ে দিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বিশ্বনাথন আনন্দকে টপকে এখন তিনি ভারতের এক নম্বর দাবাড়ু। জীবনে প্রথম বার এই কীর্তি অর্জন করলেন তিনি।

Advertisement

এই মুহূর্তে প্রজ্ঞানন্দের ফিডে রেটিং পয়েন্ট ২৭৪৮.৩। আনন্দের রেটিং পয়েন্ট ২৭৪৮। অর্থাৎ খুব সামান্য ব্যবধানে হলেও আনন্দের থেকে এগিয়ে রয়েছেন প্রজ্ঞানন্দ। আনন্দের পর তিনিই প্রথম ভারতীয় যিনি ক্লাসিক্যাল দাবায় কোনও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে হারালেন।

কালো ঘুঁটি নিয়ে খেলতে নেমে শুরু থেকেই দাপট দেখাতে শুরু করেন প্রজ্ঞানন্দ। টাটা স্টিল দাবায় চার রাউন্ডে এটাই প্রজ্ঞানন্দের প্রথম জয়। আগের তিনটি রাউন্ডে ড্র করেন তিনি। কাকতালীয় হলেও, গত বছরও লিরেনকে এই প্রতিযোগিতাতে হারিয়েছিলেন প্রজ্ঞানন্দ। সেই সময় লিরেন বিশ্বের দু’নম্বর দাবাড়ু ছিলেন এবং ক্যান্ডিডেটস প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

Advertisement

সাম্প্রতিক কালে একের পর এক বড় দাবাড়ুকে হারিয়েছেন ভারতের বিস্ময় প্রজ্ঞানন্দ। একাধিক বার হারিয়েছেন ম্যাগনাস কার্লসেনকে। র‌্যাঙ্কিংয়ের উপরের দিকে থাকা দাবাড়ুদের হারানো এখন তাঁর কাছে অনায়াস ব্যাপার হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবারের জয়ের পর তিনি বলেছেন, “শুরু থেকেই লিরেনের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে খেলছিলাম। বুঝতে পারছিলাম কিছু কিছু চাল ভুল দিচ্ছে ও।”

প্রজ্ঞানন্দের সংযোজন, “যে কোনও দিনই হোক, এত শক্তিশালী একজন খেলোয়াড়কে হারালে তাঁর অনুভূতি আলাদাই হয়। কারণ ওদের হারানো সহজ ব্যাপার নয়। ক্লাসিক্যাল দাবায় প্রথম বার একজন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে খুব ভাল লাগছে। প্রথম তিনটে গেমে ড্র করলেও উত্তেজক খেলা হয়েছে। গত বছরও একই জিনিস হয়েছিল আমার সঙ্গে। ভাল খেলতে খেলতেও হঠাৎ করে আমার ফর্ম খারাপ হয়ে যায়। তাই এ বার একই ছন্দে খেলতে পেরে খুশি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement