আমিরুলের গোলে রক্ষা মহমেডানের

কলকাতা লিগে তিন ম্যাচ ড্র করার পরে জয়ে ফিরেছিলেন আর্থার কোসিরা। সোমবার ফের সাদা কালো শিবির পয়েন্ট নষ্ট করল ফিলিপ আজার দলের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:১৬
Share:

ত্রাতা: দলকে হারের মুখ থেকে বাঁচালেন আমিরুল। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

মহমেডানের অবস্থা এখন কলকাতার আবহাওয়ার মতো। কখনও বৃষ্টিতে স্বস্তি, কখনও তীব্র গরমে হাসফাঁস অবস্থা।

Advertisement

কলকাতা লিগে তিন ম্যাচ ড্র করার পরে জয়ে ফিরেছিলেন আর্থার কোসিরা। সোমবার ফের সাদা কালো শিবির পয়েন্ট নষ্ট করল ফিলিপ আজার দলের বিরুদ্ধে। সেই আজা, যিনি গতবারই একের পর এক ম্যাচে গোল করে জিতিয়েছিলেন মহমেডানকে। এ দিন অবশ্য প্রতিশোধ নেওয়ার ম্যাচে ঘানার স্ট্রাইকার তেমন সুবিধা করতে পারলেন না। প্রথমার্ধে কাস্টমসের রাজন বর্মণ গোল করে এগিয়ে দিয়েছিলেন কাস্টমসকে। ওই গোলটির পিছনে অবশ্য আজার অবদান ছিল। গোলের জন্য অবশ্য পলতার ছেলে রাজন যতটা কৃতিত্ব পাবেন, তার চেয়ে বেশ দোষ দেওয়া যায় মহমেডানের রক্ষণ এবং গোলকিপার প্রিয়ান্ত সিংহকে। তবে প্রিয়ান্ত বাকি সময় বেশ ভাল খেললেন। বেশ কয়েকটি গোলও বাঁচালেন। বিরতির মুখে আজার সঙ্গে বল দখলের লড়াইতে গিয়ে আহত হন তিনি। কাস্টমস স্ট্রাইকারের বুটের স্টাড ঢুকে যায় তার পায়ে। রক্তাক্ত হয়েও পুরো সময় খেলেন তিনি। ম্যাচের শেষে তাঁকে নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে।

দীপেন্দু বিশ্বাসের দল সমতায় ফেরে দ্বিতীয়ার্ধে। এবং দুর্দান্ত একটি গোলে। মুসে মুদার তোলা বলে হেড করে গোল করে যান মহম্মদ আমিরুল। ম্যাচে জেতা উচিত ছিল মহমেডানেরই। তাদের নিশ্চিত দুটি পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত করেন রেফারি তন্ময় ধর। প্রথমার্ধে নিজেদের বক্সে দু’বার বল লেগেছিল কাস্টমসের অমিত চক্রবর্তী এবং সৌরভ দাশগুপ্তের হাতে। টিভি রিপ্লে-তে তা স্পষ্ট বোঝা গেলেও রেফারি দেখেননি। দ্বিতীয়ার্ধেও রেফারির বিতর্কিত একটি সিদ্ধান্তে ক্ষিপ্ত দর্শকরা মাঠে জলের বোতল ছুড়তে শুরু করেন। ম্যাচ মিনিট দুয়েক বন্ধ থাকার পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে ফের শুরু হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement