Transgender

প্রথম রূপান্তরকামী হিসেবে অলিম্পিক্সে? কঠিন বাধা পেরিয়ে স্বপ্নের উড়ানে চড়তে তৈরি টেলফার

ইতিহাস বলছে, এখন পর্যন্ত কোনও ক্রীড়াবিদ নিজেকে রূপান্তরকামী ঘোষণা করার পর অলিম্পিক্সে লড়েননি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২১ ১০:৪৯
Share:

সিসি টেলফার। ফাইল ছবি

আগামী ২৩ জুলাই থেকে শুরু টোকিয়ো অলিম্পিক্স। সব ঠিকঠাক থাকলে, সেই অলিম্পিক্সেই হয়তো নজির গড়তে চলেছে সেসে টেলফার। প্রথম রুপান্তরকামী হিসেবে অলিম্পিক্সে লড়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর। যোগ্যতামান অর্জন করলেই টোকিয়োগামী বিমানে দেখা যেতে পারে তাঁকে।

Advertisement

ইতিহাস বলছে, এখন পর্যন্ত কোনও ক্রীড়াবিদ নিজেকে রূপান্তরকামী ঘোষণা করার পর অলিম্পিক্সে লড়েননি। তবে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার পর নিজেদের রূপান্তরকামী ঘোষণা করতে দেখা গিয়েছে। ১৯৭৬ সালে ডেকাথলনে সোনা পেয়েছিলেন সেটলিন জেনার, যিনি নিজেকে পরে রূপান্তরকামী বলে ঘোষণা করেন। টেলফার অবশ্য নিজেকে আগেই রূপান্তরকামী ঘোষণা করেছেন। প্রথম রূপান্তরকামী হিসেবে আমেরিকার ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় তাঁকে লড়তেও দেখা গিয়েছে।

রূপান্তরকামী হিসেবে ইতিমধ্যেই অলিম্পিক্সের নিয়ম পূরণ করেছেন টেলফার। ৪০০ মিটার হার্ডলসে অংশ নেন তিনি। কিন্তু সামনে পথ কঠিন। সবার আগে জাতীয় ট্রায়ালের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। তার জন্য ৫৬.৫ সেকেন্ডের মধ্যে দৌড় শেষ করতে হবে। টেলফারের সেরা সময় ৫৭.৫ সেকেন্ড।

Advertisement

বাধা অন্য দিক থেকেও আসছে। অন্যান্য প্রতিযোগীরা, মূলত কমবয়সি মহিলারা দাবি তুলেছেন যে টেলফারকে অন্যায্য সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। তবে কোথাও নিয়ম ভেঙেছেন, এমন অভিযোগ ওঠেনি টেলফারের বিরুদ্ধে। তাই তিনি বলছেন, “এই লড়াই আমার একার নয়। দুনিয়ার সমস্ত মহিলা, কৃষ্ণাঙ্গ, রূপান্তরকামীদের হয়ে আমি লড়ছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement