—ফাইল চিত্র।
পি ভি সিন্ধু বনাম সাইনা নেহওয়াল দ্বৈরথ শনিবার না হওয়ার হতাশা কাটিয়ে প্রিমিয়ার ব্যাডমিন্টন লিগের দ্বিতীয় দিন রবিবার গুয়াহাটির প্রধান আকর্ষণ ছিলেন ক্যারোলিনা মারিন।
অলিম্পিক্স চ্যাম্পিয়ন মারিন হায়দরাবাদ হান্টার্সের প্রতিনিধিত্ব করছেন এ বার। অক্টোবরে চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন মারিন। দু’মাস পরে কোর্টে প্রত্যাবর্তনের আগেই অবশ্য মারিনকে অন্য ভূমিকায় দেখা গেল রবিবার নবীন চন্দ্র বরদলই স্টেডিয়ামে।
মারিন জানতেন স্থানীয় দল মানে নর্থ ইস্টার্ন ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধে রবিবার পিবিএলে তাঁদের প্রথম টাইয়ে লড়াইটা সোজা হবে না। শুধু বিপক্ষের খেলোয়াড়দের দক্ষতা নয়, প্রবল জনসমর্থনের বিরুদ্ধেও লড়ার চ্যালেঞ্জটাও নিতে হবে তাঁদের।
টাইয়ের প্রথম ম্যাচে পুরুষদের ডাবলসে তাই খেলোয়াড়দের স্ট্যান্ডে বসে সতীর্থদের সমানে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কখনও চিৎকার করে নির্দেশ দিচ্ছিলেন।
এর মধ্যেই প্রথম ম্যাচে পুরুষদের ডাবলসে হায়দরাবাদ হান্টার্সের মার্কোস কিডো এবং ইউ ইয়ন সেওং ১৫-১০, ১৩-১৫, ১৫-১৩-এ নর্থ ইস্টার্ন ওয়ারিয়র্সের কিম জি জাং এবং শিন বায়েক চেওলকে হারানোর পরে শূন্যে হাত ছুড়ে উৎসবে মাততে দেখা যায় স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নকে। যে জয় মারিনের দলকে ১-০
এগিয়ে দেয়।
দ্বিতীয় ম্যাচে নর্থ ইস্টার্ন ওয়ারির্সের ক্যাপ্টেন অজয় জয়রাম (বিশ্ব র্যাঙ্কিং ৩৮) বিশ্বের ১৮ নম্বর লি হিউন ইলের বিরুদ্ধে হারেন ১৩-১৫, ১৫-১১, ৬-১৫। ২-০ পয়েন্টে এগিয়ে যায় হায়দরাবাদ।
এর পরের ম্যাচে বিশ্বের ২১ নম্বর মিশেল লি-র বিরুদ্ধে মারিন দলকে জেতানোর সুযোগটা (মারিনের ম্যাচ ট্রাম্প ম্যাচ ছিল) পুরোপুরি কাজে লাগাতে কোনও ভুল করেননি। তিনি জেতেন ১৫-৯, ১৫-১১। সঙ্গে হায়দরাবাদও টাই জিতে যায় ৪-০।
অবশ্য বিশ্বের ১০ নম্বর জু ওয়েই ওয়াং চতুর্থ ম্যাচে হায়দরাবাদের বি সাই প্রণীতকে হারিয়ে নর্থ ইস্টার্ন ওয়ারিয়র্সের কিছুটা মুখরক্ষা করেন।
কিন্তু শেষ ম্যাচে সাতউইক সাইরাজ এবং পিয়া জেবাদিয়ার মিক্সড ডাবলস জুটি প্রজক্তা সবন্ত এবং শিন বায়েক চেওলকে ১৫-৮, ১৫-১১ হারিয়ে হায়দরাবাদের পক্ষে স্কোর নিয়ে যান ৫-২।
এই না হলে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন!