কার্লোস আলকারাজ। ছবি: রয়টার্স।
নোভাক জোকোভিচ যে বছর (২০০৮) প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছিলেন, সেই সময় কার্লোস আলকারাজের বয়স ছিল পাঁচ বছর। রবিবার ২০ বছরের আলকারাজ যখন প্রথম বার উইম্বলডন ট্রফিটা হাতে নিলেন, তখন জোকোভিচের বয়স ৩৬ এবং তাঁর ঝুলিতে ২৩টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম। সেই জোকোভিচকে হারিয়ে তাঁর থেকে ১৬ বছরের ছোট আলকারাজের মুখে শিশুর মতো সরল হাসি। যা আরও কিছু গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে দেখতে পাওয়া যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
রবিবার প্রথম সেটে ১-৬ ব্যবধানে হারের পরেও প্রত্যাবর্তন ঘটালেন আলকারাজ। চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে এই ভাবেই তো ফিরতে হয়। সেই সঙ্গে প্রতিপক্ষকে তাঁর যোগ্য সম্মানটাও দিতে হয়। আলকারাজ সেটা জানেন। তাই তৃতীয় সেটের পর জোকোভিচ টয়লেট ব্রেক নিয়ে কিছু ক্ষণ সময় নষ্ট করলেও বিরক্ত হননি তিনি। ম্যাচ শেষে আলকারাজ সদ্য উইম্বলডন হারানো জোকোভিচকে বলেন, “কিছু দিন আগে তুমি বলেছিলে ৩৬ বছরটাই তোমার কাছে নতুন ২৬। তুমি সত্যিই ২৬ বছরের মতো খেলছ।” জোকোভিচ এ বারের উইম্বলডনে সেমিফাইনাল জিতে বলেছিলেন যে, ৩৬ বছরটা মনে হচ্ছে ২৬ বছরের মতো। সেটার কথাই উল্লেখ করলেন আলকারাজ।
গত বছর ইউএস ওপেন জিতেছিলেন আলকারাজ। এটি তাঁর দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম। গত বছর ফরাসি ওপেনের ফাইনালে তাঁর খেলা দেখতে এসেছিলেন স্পেনের রাজা ষষ্ঠ ফিলিপ। আলকারাজ বলেন, “আমি দু’বার সামনে থেকে স্পেনের রাজাকে দেখেছি। সেই দু’বারই আমি জিতেছি। তাই চাইব বার বার তিনি আমার খেলা দেখতে আসুন।”
২০ বছর বয়সে উইম্বলডন জিতে নিজের কোচ এবং পরিবারকে ধন্যবাদ জানান আলকারাজ। সেই সঙ্গে জোকোভিচকে শুভেচ্ছা জানান তিনি। কোলে উইম্বলডনের ট্রফিটি নিয়ে আলকারাজ বলেন, “আমি জোকোভিচের খেলা দেখেই খেলা শুরু করেছিলাম। ওর খেলা আমাকে অনুপ্রেরণা দেয়। আমার জন্মের আগে থেকে জোকোভিচ প্রতিযোগিতা জিততে শুরু করে দিয়েছিল।”
রবিবার ৪ ঘণ্টা ৪২ মিনিটের লড়াইয়ে ১-৬, ৭-৬ (৮-৬), ৬-১, ৩-৬, ৬-৪ গেমে ৩৬ বছরের জোকোভিচকে হারালেন ২০ বছরের আলকারাজ। হয়তো আগামী দিনে বেশ কয়েক বার মুখোমুখি হবেন তাঁরা। রাফায়েল নাদালের দেশের উদীয়মান টেনিস তারকার বিরুদ্ধে খেলার জন্য জোকোভিচও হয়তো পরের বার থেকে আরও বেশি প্রস্তুতি নিয়ে আসবেন।