ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সামলে ট্রফি হাতে পোজ দিলেন অধিনায়ক ড্যারেন সামি।
ইতিহাস গড়ে ফেলল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের ত্রিমুকুট কি ফেরাতে পারবে দেশের ক্রিকেটকে স্বমহিমায়। একটা সময় ছিল যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছিল সব প্রতিপক্ষের ত্রাস। এর পর দিন বদলেছে, বদলেছে সময় ক্রমশ তলিয়ে গিয়েছে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট। টাকা নেই, নেই বোর্ডের সমর্থন। যার ফলে একটা সময় ভারতে সিরিজ মাঝ পথে ছেড়েই ফিরতে হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে। দেশের ক্রিকেটের সেই পরিস্থিতি কিন্তু এখনও বদলায়নি। তার মধ্যেই বাজিমাত গেইলদের। শুধু গেইলদের কেন টি২০ মহিলা বিশ্বকাপে একই দিনে চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এখানেই শেষ নয়। কয়েক মাস আগেই ঢাকার মাটিতে ভারতকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও তো চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ব্রাভো, ব্রেথওয়েটদের ভবিষ্যতরা। এবারও কি বদলাবে না দেশের ক্রিকেটের চিত্রটা? প্রশ্নটা থাকছেই। অধিনায়ক ড্যারেন সামি বলেন, ‘‘এখানে খেলতে আসার আগে আমরা খুব অপমানিত হয়েছিলাম। কিন্তু যেভাবে ক্যারিবিয়ান কমিউনিটি আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে সেটা আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে।’’
তবে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ১.৬ মিলিয়ন ইউএস ডলার যেটা পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে দল সেটা নিজেদের মধ্যেই ভাগ করে নিচ্ছেন প্লেয়াররা। এছাড়াও স্পনসরশিপ থেকে আসা রেভিনিউও দলের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষ কর্তা। ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আপাতত ক্রিকেটারদের সম্পর্কের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। একটা সময় বিশ্বকাপে খেলা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছিল। বোর্ড ছিল না পাশে। বিশ্বকাপ টেরফি হাতে নিয়ে ইডেন গার্ডেনে সেই হতাশাই বেড়িয়ে আসছিল স্যামির গলায়।
এত প্রতিবন্ধকতা, এত সমস্যার মধ্যেও যে সাফল্য দেশকে উপহার দিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা সেটাই হয়তো বরফ গলাতে সাহায্য করবে বোর্ডের। বোর্ডের শীর্ষকর্তা বলেন, ‘‘এখন মনে হচ্ছে জল সেতুর তলা দিয়েই যাচ্ছে। এটা ঠিক আমাদের মধ্যে কিছু মতানৈক্য ছিল। আমাদের মধ্যে অনেক আলোচনাও হয়েছে। যা একটা সময় দেখলাম সবাই জেনে যাচ্ছে। তবে এখন বলতে পারি শেষে এসে সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়েছে।’’ কিন্তু ক্রিকেটারদের কথায় কথায় তেমনটা বোঝা যাচ্ছে না। সামি বলে, ‘‘আমরা কিন্তু হঠাৎ করে জিতে গিয়েছি তা নয়। বরং আমরা অনেকদিন ধরেই তৈরি হয়েছি। এবার মিডিয়ার দায়িত্ব যারা ভেবেছিল আমরা পারব না তাদের জানানো।’’
আরও খবর
সাদা চামড়ার মানুষগুলো হয়ে গেল কালো!