ব্রিটেনের আশা নরি। ছবি: টুইটার।
উইম্বলডন সেমিফাইনালে নোভাক জোকোভিচের প্রতিপক্ষ ক্যামেরন নরি। তিনি কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়েছেন বেলজিয়ামের দাভিদ গঁফাকে। খেলার ফল নরির পক্ষে ৩-৬, ৭-৫, ২-৬, ৬-৩, ৭-৫।
৩ ঘণ্টা ২৮ মিনিটের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জয় পেয়েছেন ব্রিটেনের নরি। প্রতিযোগিতার নবম বাছাই নরি এখন ব্রিটেনের এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড়। অ্যান্ডি মারের পর তাঁকে নিয়েই আবার উইম্বলডন জয়ের স্বপ্ন দেখছে ব্রিটিশরা। শীর্ষ বাছাই জোকোভিচের বিরুদ্ধে খেলতে হবে নরিকে। কঠিন ম্যাচ হলেও বাঁহাতি নরি আত্মবিশ্বাসী। প্রতিযোগিতার শীর্ষ বাছাইয়ের সঙ্গে আয়োজক দেশের শীর্ষ বাছাইয়ের লড়াই ঘিরে বাড়ছে আগ্রহ।
বাঁহাতি নরি এ বারই প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম সেমিফাইনাল খেলবেন। এর আগে তিনি চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যামেরই তৃতীয় রাউন্ড পর্যন্ত খেলেছেন। সে দিক থেকে গঁফাকে হারিয়ে নরির উইম্বলডন সেমিফাইনালে ওঠা পেশাদার সার্কিটে তাঁর উত্থান হিসাবেই দেখা হচ্ছে। যদিও গত বছর ইন্ডিয়ান ওয়েলস মাস্টার্সে চ্যাম্পিয়ন হয়ে সকলকে চমকে দেন। এখনও পর্যন্ত চারটি সিঙ্গলস খেতাব রয়েছে নরির ঝুলিতে।
২৬ বছরের নরির টেনিসজীবন বেশ আকর্ষণীয়। ১৯৯৫ সালে তাঁর জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে। পেশাদার টেনিস খেলছেন ২০১৭ সাল থেকে। তার আগে জুনিয়র পর্যায় ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত নরি খেলতেন নিউজিল্যান্ডের হয়ে। ২০১৩ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে খেলছেন ব্রিটেনের হয়ে। এই নরিই আবার টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। সে সময় আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের টেনিসে নরি ছিলেন সেরা খেলোয়াড়।
২৬ বছরের নরির বাবা স্কটল্যান্ডের। মা ওয়েলসের। কর্মসূত্রে তাঁরা দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকতেন। নরির যখন তিন বছর বয়স, সে সময় তাঁরা চলে যান নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে। নরির বাবা-মা এখনও অকল্যান্ডেই থাকেন। কিন্তু ১৬ বছর বয়সে নরি চলে আসেন লন্ডনে। তিন বছর লন্ডনে পড়াশোনার পাশাপাশি টেনিস শেখেন। ২০১৪ সালে স্কলারশিপ নিয়ে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে যান পড়তে। ২০২০ সালে কোভিড মহামারীর সময় বাবা-মার সঙ্গে থাকতে অকল্যান্ড ফিরে যান। এখন তিনি অবশ্য লন্ডনেরই স্থায়ী বাসিন্দা।