ফাইল চিত্র।
বৃহস্পতিবারই আসন্ন নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কথা ছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। বুধবার রাতেই সিএবি-তে তিনি বলে গিয়েছিলেন এ দিন মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। কিন্তু বর্তমান সিএবি প্রেসিডেন্ট এখনও মনোনয়নপত্র জমা দিলেন না। শুধু তিনিই নন, শাসকগোষ্ঠীর কোনও সদস্যই এখনও মনোনয়নপত্র জমা দেননি।
শেষ মুহূর্তে আসা ওয়ার্কিং কমিটির নির্দেশের বিরুদ্ধে যে সব রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা সিওএ-র কাছে আবেদন করেছে, তার উত্তরের জন্যই অপেক্ষা করছেন সিএবি কর্তারা। শোনা যাচ্ছে, শুক্রবারের মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে সব বিভ্রান্তি দূর করে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। কারণ, সিএবি-সহ যে ১৮টি ক্রিকেট সংস্থা সিওএ-র নতুন নির্দেশিকার বিরোধিতা করেছে, তাদের সেই অভিযোগ আজ খতিয়ে দেখবে সুপ্রিম কোর্ট। বেশ কয়েকটি রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার অনুমান, সিওএ-র নতুন নির্দেশের ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট ওয়াকিবহাল নয়। সিএবি-র সঙ্গেই গুজরাত, বিদর্ভ, তামিলনাড়ু ক্রিকেট সংস্থা সিওএ-র নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টকে আবেদন করেছে। এমনকি তারা আশাবাদী, সুপ্রিম কোর্ট হয়তো তাদের অভিযোগের পক্ষেই রায় দেবে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আসার পরেই হয়তো জমা পড়বে সিএবি-র শাসকগোষ্ঠীর সদস্যেদের মনোনয়ন। কারণ, ওয়ার্কিং কমিটির মেয়াদ ধরা হলে কাদের পদাধিকার দেওয়া যেতে পারে তা নিয়েই মূল বিভ্রান্তি।
এ দিকে সত্তরোর্ধ্বের ভোটাধিকার নেই, তা মানতে পারছেন না সংস্থার কর্তারা। গত দু’দিন ধরে সিএবি-র সত্তরোর্ধ্ব সদস্যেরা কলকাতার বিভিন্ন আইনজীবীর সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন। ভারতীয় বোর্ড ও সিএবি-র নতুন গঠনতন্ত্র দেখিয়ে প্রশ্ন করা হয়, কেন তাঁরা ভোটাধিকার পাচ্ছেন না।
শোনা যাচ্ছে, বিভিন্ন রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার সত্তরোর্ধ্ব সদস্যেরা সিওএ-র নির্দেশিকার বিরুদ্ধে মামলা করতে প্রস্তুত। সিএবি-র সত্তরোর্ধ্ব সদস্যেরাও জানিয়েছেন, শুক্রবারই তাঁরা রাজ্যের শীর্ষ আদালতে মামলা করবেন।
বৃহস্পতিবার সিএবি-র প্রাক্তন সচিব শরদিন্দু পাল বলেন, ‘‘আমরা কেন ভোটাধিকার পাচ্ছি না, তার কারণ খুঁজে পেলাম না কোনও গঠনতন্ত্রে। বয়স কি কোনও যোগ্যতার মাপকাঠি হতে পারে? এটা কী ধরনের নিয়ম! বিষয়টি যখন সিএবি-র হাতের বাইরেই চলে গিয়েছে তখন আমাদের আদালতের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া
উপায় নেই।’’
তা হলে কি সত্তরোর্ধ্ব সদস্যেরা মামলা করার জন্য প্রস্তুত? শরদিন্দু বলে গেলেন, ‘‘কালই আমরা এই নিয়মের বিরুদ্ধে মামলা করব। তবে তার রায় পেতে কত দিন লাগবে সে বিষয়ে কোনও ধারণাই আমাদের নেই।’’ কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত প্রশাসকদের কমিটি যে নিয়ম শুরু করেছে, তার বিরুদ্ধে মামলা করে কোনও লাভ হবে?