অপেক্ষার অবসান। এক নতুন ক্রিকেট স্টেডিয়াম পেতে চলেছে কলকাতা। যার জন্য জমি দেওয়ার সরকারি সম্মতিপত্রও পেয়ে গিয়েছে সিএবি। রাজারহাটে জমি বেছে নিয়ে সেখানে এক নতুন ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরির কাজ যথাসম্ভব দ্রুত শুরু করে দিতে চায় সিএবি। বছর চারেকের মধ্যে এই স্টেডিয়াম তৈরির কাজ শেষও করে ফেলতে চায় তারা।
বছর দুয়েক আগে খেল রত্ন সম্মান অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের জন্য জমি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সিএবি-কে। এতদিনে সেই জমির সরকারি সবুজ সঙ্কেত পাওয়া গিয়েছে বলে শনিবার সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোধ্যায় জানান। এ দিন তিনি ইডেনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘স্টেডিয়ামের জন্য সরকার থেকে জমি পাওয়ার ছাড়পত্র পেয়েছি আমরা। এ বার আমরা জমি বেছে নিয়ে কাজটা শুরু করে দিতে পারব। আশা করি তিন-চার বছরে একটা ভাল স্টেডিয়াম উপহার দিতে পারব কলকাতাকে।’’
সারা বছর যে পরিমান ক্রিকেট ইদানীং হচ্ছে কলকাতায়, শুধু ইডেন গার্ডেন্সে তা সামলানো সম্ভব নয় বলে সিএবি কর্তাদের বক্তব্য। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, আইপিএল, বোর্ডের বিভিন্ন বয়সভিত্তিক ঘরোয়া ম্যাচ মিলিয়ে সারা বছরে প্রচুর ম্যাচের আয়োজন করতে হয়। এ ছাড়া স্থানীয় ক্রিকেট তো রয়েছেই। ইডেনে আধুনিক পরিকাঠামো তৈরি করাও সহজ নয়। কারণ, প্রতি পদে সেনাবাহিনীর অনুমতি নিতে হয়। যা সহজলভ্য নয়।
তাই নিজস্ব স্টেডিয়াম পেলে আধুনিক পরিকাঠামো তৈরি করাও যাবে। দেশের অন্যান্য প্রায় সব ক্রিকেট কেন্দ্রেই স্থানীয় ক্রিকেট সংস্থার নিজস্ব স্টেডিয়াম রয়েছে। এ বার কলকাতায় সেই তালিকায় ঢুকে পড়তে চলেছে।
এ দিকে আসন্ন ভারত-শ্রীলঙ্কা টেস্ট ম্যাচের দৈনিক টিকিটের দাম করা হচ্ছে ১০০, ১২৫ ১৫০ টাকা করে। তবে ওয়ান ডে ম্যাচে যে রকম টিকিটের দামের উপর জিএসটি চাপানো হয়েছিল, এ বার তা হচ্ছে না টিকিটের দাম ২৫০ টাকার কম হওয়ায়। টিকিট বিক্রির দায়িত্ব এ বার দেওয়া হচ্ছে এক সংস্থাকে। এ ছাড়া এ দিন ওয়ার্কিং কমিটির সভায় ঠিক হয়েছে সিএবি-র স্পনসরদের কাছ থেকে পাওয়া অর্থের ৬০ শতাংশ বাংলার বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলের ক্রিকেটারদের দেওয়া হবে। এই নিয়ে ক্রিকেটারদের চাপা ক্ষোভ ছিল বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল। সেই ক্ষোভ মেটাতেই হয়তো এত দিনে এই সিদ্ধান্ত নিল সিএবি।