ব্রিজ ভূষণ শরন সিংহ। — ফাইল চিত্র।
কুস্তিগিরদের শারীরিক নিগ্রহ করার যে অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে, তা আবার অস্বীকার করলেন জাতীয় কুস্তি সংস্থার বিদায়ী সভাপতি ব্রিজভূষণ শরন সিংহ। শুধু তা-ই নয়, যৌন নিগ্রহ নিয়ে অদ্ভুত যুক্তি খাড়া করেছেন তিনি। নিজের আইনজীবীর মারফতে তিনি দাবি করেছেন, যৌন নিগ্রহের ইচ্ছে ছাড়া কোনও মহিলাকে জড়িয়ে ধরা বা স্পর্শ করা অপরাধ নয়। পাশাপাশি কিছু অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন, সেগুলি দেশের বাইরে ঘটেছে। ফলে এ দেশে তার বিচার হতে পারে না।
ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছিলেন কয়েক জন কুস্তিগির। বুধবার দিল্লির রাউজ় অ্যাভিনিউ আদালতে আইনজীবী রাজীব মোহনের মাধ্যমে অতিরিক্ত মুখ্য মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন ব্রিজভূষণ। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার পর পাঁচ-ছ’বছর পেরিয়ে গেলেও ভয়ের কারণে অভিযোগ না জানানোর যে যুক্তি কুস্তিগিরেরা দেখিয়েছিলেন, তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। পাঁচ-ছ’বছর অনায়াসে দেশ-বিদেশে ঘুরে বেরিয়ে হঠাৎ করে যদি তাঁরা বলেন হুমকি দেওয়া হতে পারে, তা সঠিক ব্যাখ্যা হিসাবে গ্রহণ করতে পারে না আদালত।
একই সঙ্গে তাঁর যুক্তি, ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে আনা কিছু অভিযোগের ঘটনাস্থল বিদেশে। ফলে সংশ্লিষ্ট দেশেই সেই ঘটনার বিচার হওয়া উচিত। ভারতে সেই ঘটনার বিচার চলা উচিত নয়। দেশে যে ঘটনাগুলি ঘটেছে, তার মধ্যে সিরি ফোর্টের ঘটনার উত্তর দিতে গিয়ে আদালতে উপরোক্ত বিষয়টি পেশ করেছেন ব্রিজভূষণের আইনজীবী। পাশাপাশি প্রশ্ন তুলেছেন, দেশের অন্যত্র কোনও ঘটনা ঘটে থাকলে তার বিচার দিল্লির আদালতে হবে কেন?
আইনজীবীর মাধ্যমে ব্রিজভূষণ আরও জানিয়েছেন, কুস্তি এমনই একটি খেলা যেখানে পুরুষ কোচেদের সংখ্যাই বেশি। ছাত্রীর সাফল্যের পর যদি কোনও কোচ উৎসাহের বশে তাঁর ছাত্রীকে জড়িয়ে ধরেন বা স্পর্শ করেন, তা হলে সেটা কি অপরাধ? আদালত জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার আবার এই মামলার শুনানি হবে।
গত ২০ জুলাই জামিন দেওয়া হয় ব্রিজভূষণকে। ২৫ হাজার টাকার বন্ডও জমা করতে হয়েছে তাঁকে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, আদালতের অনুমতি ছাড়া তিনি দেশ ছাড়তে পারবেন না এবং কোনও অভিযোগকারীকে হুমকি দিতে পারবেন না।