ব্রায়ান লারা—ফাইল চিত্র
সচিন তেন্ডুলকরের টেস্ট ইনিংসগুলোর মধ্যে কোনও একটিকে বেছে নেওয়া সব সময়ই কঠিন কাজ। কিন্তু সেই কাজটা করে ফেললেন ব্রায়ান লারা। জানিয়ে দিলেন, সচিনের কোন ইনিংসটি তাঁর মনে সব চেয়ে বেশি দাগ কেটেছে। শুধু তাই নয়, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সেই ইনিংস থেকে সবাইকে শিক্ষাও নিতে বললেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি।
শনিবার ইনস্টাগ্রামে লারা লিখেছেন, ‘‘ভাবা যায়, ১৬ বছর বয়স থেকে শুরু করে পরের ২৪ বছর ধরে একটা ছেলে টেস্ট ক্রিকেট খেলেছে? স্রেফ অবিশ্বাস্য লাগে ভাবলে। ওর টেস্ট জীবনে সচিন অনেক দুরন্ত ইনিংস খেলেছে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিডনিতে ওর অপরাজিত ২৪১ রানের ইনিংস ভোলা যাবে না। ও রকম মানসিক দৃঢ়তা আর শৃঙ্খলা আমি আর কোনও ইনিংসে দেখিনি।’’
সচিনের সেই ইনিংসকে উদাহরণ হিসেবে সামনে রেখে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন লারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘‘সচিন তেন্ডুলকর শুধু অতীতের নয়, এখনকার ক্রিকেটের নিরিখেও বিশ্বের অন্যতম সেরা। আমরা ওর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সচিনের অপরাজিত ২৪১ রানের ইনিংস দেখে আমরা শিখতে পারি জীবনের লড়াইয়ে কতটা শৃঙ্খলাপরায়ণ হওয়া উচিত।’’
সেই ২০০৪ সফরে, সিডনিতে ৪৩৬ বলে অপরাজিত ২৪১ রান করেছিলেন সচিন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারত তুলেছিল সাত উইকেটে ৭০৫ রান। টেস্ট ড্র হয়ে গেলেও ক্রিকেটপ্রেমীরা এখনও ভুলতে পারেননি সচিনের সেই অদম্য লড়াই। ওই সফরে সচিনের রান করতে সমস্যা হচ্ছিল। সিডনি টেস্টের আগে সচিন ঠিক করেন, কোনও কভার ড্রাইভ মারবেন না। তাঁর ৪৩৬ বলের ইনিংসে কোনও কভার ড্রাইভ মারেননি সচিন। এতটাই ছিল তাঁর শৃঙ্খলা আর মানসিক কাঠিন্য। যার কথাই এ দিন তুলে ধরেছেন লারা।
সচিনের ক্রিকেট জীবনে লারার সঙ্গে তাঁর লড়াই ক্রিকেট রূপকথায় জায়গা করে নিয়েছিল। ঠিক তেমন ভাবে সচিন বনাম গ্লেন ম্যাকগ্রা বা সচিন বনাম শোয়েব আখতার লড়াইও আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যে লড়াই নিয়ে টুইটারে ভক্তদের প্রশ্নের জবাব দিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন চায়নাম্যান স্পিনার ব্র্যাড হগ।
এ দিন টুইটারে হগকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, সচিন বনাম ম্যাকগ্রা না সচিন বনাম শোয়েব— কোনটা আপনার প্রিয়? যার জবাবে হগ বলেন, ‘‘সচিন বনাম ম্যাকগ্রা অনেক দীর্ঘস্থায়ী একটা লড়াই ছিল। যেখানে একে অন্যের উপরে দীর্ঘ সময় ধরে চাপ তৈরি করত। ম্যাকগ্রার চেষ্টা থাকত, ধৈর্যের লড়াইয়ে জেতা। আর শোয়েব চেষ্টা করত গতিতে সচিনকে
উড়িয়ে দেওয়ার।’’