তরুণ ক্রিকেটার হিসেবে ব্রায়ান লারাকে দেখেই নিজেকে তৈরি করেছেন তিনি। কিংবদন্তি এই ক্রিকেটারের থেকে পেয়েছেন মূল্যবান পরামর্শও। ক্যারিবিয়ানদের চলতি ভারত সফরে ওয়ান ডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে শতরানের পরে সেই তরুণ প্রতিভা শিমরন হেটমায়ার মনে করছেন কিংবদন্তি লারাকেই।
মঙ্গলবার বিশাখাপত্তনমে ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচ খেলতে নামার আগে হেটমায়ার জানিয়েছেন, ব্রায়ান লারা-সহ বেশ কয়েক জন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি উৎসাহ দিয়েছিলেন এগিয়ে যাওয়ার জন্য। তাঁদের পরামর্শ মেনে এগিয়েই এই সাফল্য।
২১ বছর বয়সি হেটমায়ার ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজে সে ভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। চার ইনিংসে করেছিলেন ৫০ রান। গড় ছিল ১২.৫০। কিন্তু আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে গুয়াহাটিতে ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ৭৮ বলে ১০৬ রান করে এই মুহূর্তে খবরের শিরোনামে। এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে হেটমায়ার বলে যান, ‘‘যখন ক্রিকেট খেলা দেখতাম, তখন মুগ্ধ হয়ে লক্ষ করতাম লারাকে। কিন্তু অনেক শটই আমি মারতে শিখেছি স্বাভাবিক ভাবে। একজন স্বাভাবিক ‘স্ট্রোক-প্লেয়ার’ হিসেবে প্রতিটি বল আমি খেলি মগজ কাজে লাগিয়ে।’’
হেটমায়ার আরও বলেন, ‘‘অতীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বেশ কয়েক জন কিংবদন্তি ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বলেছি। যার মধ্যে রয়েছেন স্যার ল্যান্স গিবস, স্যার ভিভ রিচার্ডস, ব্রায়ান লারা। ওদের পরামর্শ ভাল খেলতে অনেকটাই সাহায্য করেছে।’’
কী পরামর্শ পেয়েছিলেন তা জানতে চাইলে হেটমায়ার বলেন, ‘‘ওঁরা সকলেই বলেছিলেন, নিজের স্বাভাবিক খেলা চালিয়ে যেতে। প্রতিটি বল বুদ্ধি করে খেলতে। সকলেই উৎকর্ষ বাড়ানোর জন্য নানা গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছিলেন। তার ফলে অনেক কঠিন কাজ এখন মাঠের মধ্যে সোজা হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি এগিয়ে চলার প্রেরণাও পেয়েছি ওঁদের কাছে।’’
ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম একদিনের ম্যাচে তাঁর মারকুটে ইনিংস সম্পর্কে হেটমায়ার বলেন, ‘‘টেস্ট সিরিজে ভাল খেলতে পারিনি ভারতের বিরুদ্ধে। ফলে শুরুটা ভাল হয়নি। কিন্তু সেই ব্যর্থতা মন থেকে মুছে ফেলেছিলাম। দলের সিনিয়ররা এ ব্যাপারে খুব সহযোগিতা করেছেন। ওঁরা সকলেই বলেছিলেন, চিন্তা করার কিছু নেই। সামনের ম্যাচগুলোর দিকে তাকাও।’’